ঝিম ধরে বসে থাকি সভ্যতার ঘোর অন্ধকারে,
অবরুদ্ধ বাতাসে চোখ জ্বালা করে আরও
সন্ধ্যা পেরয়, রাত হয়; আমার কাছে সভ্যতা মানে-
সোনার বয়স ডুবে গভীর থেকে গভীরত্বর।
  
স্তূপের মতো জমে গেছে ব্যর্থতা যত-
মধ্যবিত্তের পরম পবিত্র কপালে।
দুর্ভিক্ষ আর অনিয়মের একমুখী সংসারে,
স্তূপে রোজ জমে ভার, জমে দায়বদ্ধতা।
হৃদপিণ্ড গলে গেছে আগুনে, পাঁজর জ্বেলেছি কেবল
চোখ সয়ে গেছে গাঢ় অন্ধকারে; আলো নেই তবু-
আলো নেই প্রাণে। শতাব্দী ফুরায়, সফলতা নেই-
ভালোবাসা নেই গানে।
সমাজের নিরস পাখি সেজে অপেক্ষার ঘড়িতে,
সভ্যতার শেষ কাক হয়ে বসে থাকি সুউচ্চ মিনারে।  
মুখে ফেনা তোলা প্রণাম ফিরিয়ে-
আত্মার পাশে দাঁড়ায়নি ধর্মের সহায়ক।
আজ যেনো সে নিজেই সমাধিস্থ শিব।    
ভ্রমে ডুবে যাওয়া সভ্যতার ঘোরলাগা-
ভ্রম কেটে যায়, ব্লেডের গায়ে ধমনির প্রিয় রক্তে।
লাল রক্তে; টগবগে গরম রক্তে।
যে রক্ত কেবল বহুকাল অপেক্ষাই করেছে শুধু।

প্রকৃতির বর্ধিত চতুর্ভুজ সাফল্য বাড়ে-
মাটির কীট পায় আহার,
ধরনী পায় কোমল উর্বরতা,
বৃক্ষরাজি পায় তেড়ে-বেড়ে ওঠার শক্তি।
এসব আগত বহুমুখী কল্যাণ কেবল তারই
কাঁচা কুয়াশায়, ভেজা ঘাসের বুক চিরে যে-
সমতল মাটিকে আঁকড়ে নিলো, ধরাকে দিয়ে আড়ি।  


৮ পৌষ ১৪২৮ / ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ / বৃহস্পতিবার
নারায়ণগঞ্জ