রক্তনালীর মতো চোরাপথে বেড়েছে সে শহর,
ধমনীর মতো ফুলে ফেঁপে উঠেছে বন্য পাহাড়ে-
তার এলোমেলো আঁকাবাঁকা রাজপথ!
উঠোনের লাউ ডগার মতো রাজপথগুলো-
বেয়ে বয়ে উঠে গেছে মেঘের ধারে-
উঠে গেছে, সমতল নগর ছাড়িয়ে আকাশের ওপাড়ে।
পাহাড়, গিরি-ঢাল বেয়ে উড়ে আসা সু-বাতাস চেনে-
মানুষের মন, চেনে মনের গহীন অলিগলি,
যেখানে ক্ষতরা জমা হয়ে আছে- বাড়ির রাস্তায় বৃষ্টির পর,
জমা জল, কাদা-মাটি আর চোরা গর্তের মতো।
চাইলে যে মানুষ মেঘ ছুঁতে পারে-
সে কেন কান্নার পাহাড় গড়ে তোলে আপন সমতলে?
কেন সে ছেড়ে আসে প্রিয় মুখ,
প্রেয়সীর হাসি, কেন ফিরে আসে অসম প্রেমের সমাধি খুঁড়ে-
কেন লুটায় উঁচু ঢিবির গ্রাম্য ভাঙ্গাচোরা গোরে?
কেন হেটে হেটে পথ হারায় মরু-মরিচিকা তটে,
কেন শীতের রাত্রিতে একলা উদাস নগ্ন গায়ে হাটে?
কেন মানুষ তাজমহল ভেঙ্গে শ্মশান গড়ায়?
পাহাড় সে শব চেনে-
শব দেহগুলো তুলে নিয়ে অনায়াসে প্রাণদেহ দেয় গুনে।
সে জিউস পাহাড়েই ছুটে চলে জীপ-
সভ্যতার রঙিন স্বপ্নের রাস্তায়।
প্রতি বাঁকে যেনো যমদূত হাসে; তবুও এ স্বর্গ যানে-
ইন্দ্রের রথ যেনো ছুটে তার অমরাবতীর পানে।
কলকলে ঝর্ণা জল আর রঙিন ময়ূরীর দেশে-
অমৃত আর সেসব নীল সরোবরে,
বহু বছর আগে যেমন তোমায় ভালোবেসে-
উষ্ণ দুপুরে ছুটেছি হেভি ডিউটি বাংলা সাইকেলে,
তেমনি পাহাড়ি সারথি আশুর-
দুর্দর্শ স্বর্গীয় রথে সমতলের শবদেহ ছুটে চলে।
শনিবার,
১৮ ভাদ্র ১৪৩০ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সাজেক, খাগড়াছড়ি।