আমি অপেক্ষায় আর একবার,
আমি তোমার কোমল তালুর আব্রুতে তখন-
আমার ঘোটা জীবন আবদ্ধ দেখি।
আমার মুখ চোখ অন্ধকার হয়ে আসে-
উপরে শীতল প্রলেপ, আমি সবুজ ঘাসের মতো হাসি।

হাতে একটি স্তব্দ সময়-
আমি ধরে রেখেছি অনেক বছর ধরে,
আমার দেহকে টেনে নিয়ে চলে অন্য একটি সময়।
দুটি ভিন্ন সময়ের তারতম্যে আমার দেহ আর মন-
ঝুলে থাকে, হটাৎ হেভি ভোল্টেজে ঝুলে থাকা উলটো কাকের মতো।
আমাকে জড়িয়ে ধরো তুমি,
আমাকে ধরো, যেভাবে তীব্র খিচুনি উঠা রোগী স্থিরতা চায়-
রক্ত, মাংসের অনিয়ন্ত্রিত বিদ্রোহ থেকে।
আমাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরো-
সাইবেরিয়ান উপত্যকায় আমার খোলা দেহ শায়িত আছে।
প্রতিটা সিমেট্রি, প্রতিটা স্মৃতি চিহ্নের আড়ালে নরম মাটি-
আমার গায়ে গ্রেভিটির চাপ ভুলে কেবল শুভ্র বরফ ঢালে।
আমাকে জড়িয়ে ধরে থাকো-
এক জোড়া হাত, হাতের আঙুল আমি খুটিয়ে দেখি,
চামড়ার মসৃণতা থেকে কেবল উষ্ণতা শুষে নেই-
আমি বেঁচে উঠি, শ্বাস নিতে পারি তোমার উষ্ণতায়।
আমাকে জড়িয়ে ধরো, আমাকে জড়িয়ে ধরো-
অন্ধকারে পথ ভোলা তোতা পাখির মতো আমি মরে যাচ্ছি-
আমার ঘরে ফেরার পথটুকু কেবল রিকশার।
আমি অপেক্ষায় আর একবার,
আমাকে জড়িয়ে ধরো, আরো শক্ত করে-
তোমার হৃদয় এটুকু উষ্ণতা আমাকে দিলে
আমিও ফুল হয়ে তোমার খোঁপায় ফুটে উঠতে পারি।

রবিবার,
০৫ ফাল্গুন ১৪৩০ | ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা।