নোনা বাতাস আসছে,
অন্তরের গোপন কুঠরীতে কল্পনার আগুন জ্বালাতে।
আমি স্থির, নিরুপায়। ঝাউ গাছ, আর অচেনা বন
আমাকে ঠাঁই দেয়, এ বেদনা তাদেরও।
বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, সেসব বাগান
জল আর জল তাদের মতো আমাকেও ছুঁতে চায়।

বালুময় তপ্ত তীরে এসেই যে সকল ঢেউ মরে যায়
তারা জানে না এসব বেদনার কথা।
তারা নমশূদ্রদের মতো জাত-পাতে বাধা অস্পর্শী
চাইলেও যাকে তাকে ছুঁতে পায় না।

আমি ছুঁতে চাই সেসব অসম্পূর্ণ ঢেউ,
এই অগভীর বাগানেরাও তাই চায়।
দীর্ঘ দিবস রজনী তারাও অপেক্ষায়, উজানী ঢেউ
কিংবা অমীমাংসিত তোমার।
ফের বাতাস আসে, আলো নেমে আসে
আসে সমুদ্র, আসে নোনা বাতাস। মুখোমুখি দেখি-
তিরতির করে কাঁপছে বুক, স্পষ্ট তুমি আছো সামনে-
হয়তো নেই, হয়তো খুব কাছে, হয়তো আরও বেশি গোপনে।

শনিবার,
১৮ আগস্ট ২০২৪ | ০৩ ভাদ্র ১৪৩১
সুগন্ধা সী বীচ, কক্সবাজার