আক্ষেপ
একটা প্রতিষ্ঠিত প্রবঞ্চনার শিকার আমি
হাজারো চেষ্টা চালাই শঠতার দেয়াল ডিঙানোর।
কিন্তু প্রতিবারই আমাকে পরাভূত হতে হয়
প্রবঞ্চনার চাতুর্যপূর্ণ উপস্থিতির কাছে।
অপরূপ শ্রীযুক্ত মুখাবয়ব নিমিষেই তোফান তুলে যায়
সহস্রাব্দ ধরে ঘুমিয়ে থাকা গভীর সাগরের জলে।
কেবল আমার নদীতে এসে সেটা জল হয়ে
মিশে যায় বহমান শান্ত তরঙ্গের সাথে।
অনুভবযোগ্য-- খালি চোখে দেখা যায় এমন ছলনা
অনায়াসেই ভুলিয়ে দেয় সকল পিছুটান--
রেখে যায় পদচারণার ছাপ হৃদয়ের একদম গভীরে
অতি সন্তর্পণে।
সময়ের ক্রমাগত বিভ্রান্তিকর অপচয়ে উত্তাপহীন রক্ত
একদম ব্যর্থ হয় আমাকে ভেতর থেকে জাগাতে।
কেবল রক্ত-মাংসের বোধহীন একটা অস্তিত্ব
বয়ে বেড়ানোর অসীম যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট হই আমি।
একটু একটু করে আমার আমিটুকু
সব চলে যায় সময়ের ভোগে,
বিশাল ক্ষমতার অধিকারী আমি
বেলা শেষে বেঁচে রই অক্ষমতাকে পুঁজি করে।
আমি কষ্টে নীল হয়ে যাই মুখে ভনিতার হাসি নিয়ে,
নিজেকে প্রাণপণে উগলে দেই সুখী জনের বেশে।
আমার কষ্টগুলো নিঃশব্দে তাড়া করে যায় নাড়ির স্পন্দন,
আর আমি; অল্প অল্প করে নুইয়ে পড়ি ব্যর্থ সময়ের ভারে।