শহরের চারিধারে আজ সুখানুভব,
আনন্দ আর প্রমোদের মেলা।
জীববৈচিত্রের মহত্তে সবি চলমান,
নিয়ম করে চলে রং বেরঙের খেলা।
খেয়াঘাটে পারাপার হয় হাজারো জলযান।
মাঝিরাও সুরে সুরে গায় ভাটিয়ালি গান।
শুধু থেমে গেছি আমি,সব কোলাহল থেকে
নিজের প্রতি অযত্ন আর অবহেলায়।
ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে শুনি আজো,
নবজাতকের সেই হাঁসি।
মরুভূমির প্রখর উত্তাপে দাঁড়িয়ে,
দেখি আজ কত সত্যের ফাঁসি।
গঙ্গাপ্রাপ্তির প্রতীক্ষায় আমি যেন,
এক রুদ্র ক্লান্ত যুবক ।
শিবহীন ছাইমাখা এক ললাট নিয়ে,
দাঁড়িয়ে আছি ধরনীর পর।
অমলীন স্মৃতিগুলো ভাসে আজ,
দু`চোখের কোণে ।
জমিয়ে থাকা বাড়ন্ত স্বপ্নেরা কাঁদে,
বিষাক্ত বাতাসে।
দুরন্ত সব প্রতিভা'রা চাপা পড়ে গেছে,
পাথরের তলদেশে।
সব বাধা ভাঙ্গতে চাই, তবু কেনো হেরে যাই,
সংগ্রামী জীবনের কাছে।
মনের ডায়রিতে লিখা হাজারো ক্ষোভ,
আর অগনিত নীল আঁচড়।
কেমন ছিলো আমার সোনালী শৈশব,
পোড়াদগ্ধে আজ কেনো হয়েছি পাথর ।
বিবসন সমাজের অসম্বন্ধ্র বিন্দু কণায়,
দাঁড়িয়েছি সবার ধারে।
সেই আমি আজ সব প্রদাহের তাপ,
বিরাগে সয়ে যাই নিজের ঘাঁড়ে।