একদা এক পণ্ডিত এসে অন্ধকে সুধালো,
ওহে, ভাই তোমার মনটা ভীষণ সাদা।
অন্ধ কহিলো--সাদা! এ আবার কেমন জিনিস!
একটু বুজিয়ে বলবেন কি দাদা..?
------বিজ্ঞ ডেকে বলছে ও ভাই ,
সাদা রঙ আজো চিনলেনা তুমি?
এমনটাই সাদা ! ঠিক যেনো বকের মত!
বক দেখতে কেমন? মহাশয়! বুজিয়ে বলবেন কি?
অন্ধ মানুষ বুঝিনাতো কিছু অতশত ।
-----একটু ভেবেই জ্ঞানী কহে,
বক হলো ঠিক পাখি যেমন,
কাঁচির মত বাঁকা, লম্বা যে তার গলা।
কাঁচি কেমন! হায় " ভাবছি এখন!
ভারী চিন্তায় পেলে দিলেন জাঁহাপনা ।
----বিদ্বান এবার বলছে ডেকে,
ছুঁয়ে দেখো মোর বাঁকা তর্জনী,
এবার হবে তোমার, ঠিক মত সব শেখা ।
ও....এতক্ষনে বুঝেছি এবার,
মনটা আমার তর্জনী আঙ্গুলের মত টেঁড়া আর বাঁকা
এবার একটু চেচিয়ে বিজ্ঞ বলিল, ওহে মুর্খ!
তুই শুধু অন্ধই না আস্ত একটা বোকা,
সামান্য খানি কথা বোঝাতে তোরে,
কেটে গেলো আমার সকাল থেকে সন্ধ্যা।
এবার দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়িয়া অন্ধ কহিলো ;
ওহে বিজ্ঞ মহাশয়,
আমারতো দুটো আঁখি বন্ধ, তাই আমি অন্ধ।
আঁখি থেকেও যারা দেখেনা সমাজের ভালো মন্দ,
সে আঁখির কি বা মূল্য....??
আমাকে তৈল দিয়ে লাভ কি হবে,
দিবস রজনী সবই তো আমার অন্ধকার।
ওদেরকে তৈল দিয়ে দু'পশা কামাতে পারো,
যারা চাবিকাঠি নাড়ে দেশটার ।।
-করুন গলায় আত্মচিৎকারে বিজ্ঞ ডাকিলো,
ওহে অন্ধ মহাশয়.....
এমন করে ভাবিনাই কভু,জীবন কাটিয়েছি টাকার পিছু।
বুঝিতে আমি করিয়াছি ভূল বলিয়াছি আপনাকে বোকা!
আমায় ক্ষমা করুন মহোদয় আমি এক মস্ত বড় গাধা।
(প্রথমার্ধ সংযোজিত কপি)