কবিতাঃ "ভদ্রলোক"
কবিঃ বর্ণ
তারিখঃ ২৪/০৫/২০২১ইং
সময়ঃ১৭:২০ ঘটিকা
হাই!আমি ষোল নম্বর থেকে অনিকেত,
দড়জাতে লেখা আছে, "আঙুরি ক্ষেত।"
আনোয়ারা মোড় থেকে,ষোল নং লেন,
সোজা ঢুকে, একত্রিশ, গজ আসবেন।
চিনতে হবে না'ক তো কোনো তকলিফ?
অনায়াসে ঢুকে যাবে, কার কিবা জিপ।
বুঝেছেন রাস্তাটা। একদমই সোজা না?
আমার গৃহটি নেই,কারো কাছে অজানা
"আঙুরি ক্ষেত"নামে বাড়ি হেথা একটাই,
অন্দরে ঢুকবার, পথে কোনো বাধা নাই।
সোজা ঢুকে দশ'পা,তারপর বায়ে মোড়,
সম্মুখে আছে এক,পুরনো কাঠের দোর।
দোর ঠেলে ঢুকবেন,কাশা-কাশি না করে,
চোখ কান খোলা রেখে, চলবেন এ ঘরে।
এই যে,আমার ঘরে,বাস করে চামচিকে,
হঠাৎ ঢুকলে কেউ, ছোটে ওরা চারদিকে।
আস্তে নীরবে তাই, টিপে টিপে দুই পা,
কথা ছাড়া করবেন, সব কাজ সমাধা।
কি হলো,কি বলেন!এ কেমন কথা ভাই!
এতদূর এসে শেষে, বলছেন কাজ নাই।
আগে কেন দেন নিকো, এ কথার উত্তর,
এ পাড়াতে সবক'টা, ভদ্র লোকের ঘর।
ভদ্রলোকের ঘরে, এইভাবে ঢোকা যায়?
আপনাকে নিয়ে তো,হলোহে ভীষণ দায়।
বেশ আর কি করার , যা হবার হয়েছে,
এ রকম ঘটনারও, উপায় তো রয়েছে।
দিন তবে বিশ টাকা,এ ভুলের খেসারত,
এরপর আগে থেকে,জানাবেন মতামত।
ভাবুনতো একবার, আজ কি যে হতো,
ভাগ্যিস, পেয়েছেন , আমাদেরই মতো।
আমরা ভদ্র লোক, তাই আজ এখানে,
নাহলে এ বিশ টাকা,জরিমানা কে মানে?
আজকাল, আগে পিছে, বাটপার লোকে,
ফাঁদ পেতে বসে থাকে, মায়াভরা চোখে।
একদম সাবধান ! মায়াভরা চোখ জোড়া,
আদতে মায়াবী নয়,গোদে যেন বিষফোঁড়া।
--------*******-----