"মরণ-কেতন"
বর্ণ
তারিখঃ০৩/০৫/২০২১ ইং
সময়ঃ০১ঃ০০ ঘটিকা
মৃত্যু নেবে মৃত্যু ! জলের দরে ভাই, মৃত্যু আমি বেচি,
এই যাবত হবে শতের ওপর,জীবন,খালাস করিয়েচি।
বেশ বরাবর নাম-ডাক আছে,লাগলে ডেকো ফের,
দেখিয়ে দেব এই মাতুলের ভায়া,ক্ষেমতা কত ঢের।
এইতো সেদিন, ক'দিন হলো ! হয়তো হবে দু'চার,
বেশতো হলোই, পত্রিকাতে, ফলাও করে প্রচার।
লস হলো, তাও বেচেই দিলাম, এই সেদিন এক হাটে,
শিমুলিয়ার উল্টো দিকে,পদ্মানদী,কাঁঠালবাড়ির ঘাটে।
চুক্তি ছিলো সেদিন, মুক্তি পাবে একত্রিশজন লোকে,
পাঁচটি মানুষ বাদ পরেছে তবে,এক কুড়ি'ছয়,ওকে।
ক্যামনে যে অই পাঁচটি ব্যাটা , ফসকে গেলো হাত,
তবু যা হোক বেশ হয়েছে মোটে, চুক্তি মতোই কাত।
তিরিশ জনে পাঁচটি মানুষ, একশো জনে ষোলো,
বেঁচে গেলে কিই আর এমন , বিরাট ক্ষতি হলো!
দশটি কাঁঠাল কিনলে পরে তাতেই, দুইটা থাকে পঁচা,
পাঁচটি লোকে বাঁচলো নাহয় দিয়ে,লুঙ্গিতে মালকোঁচা।
তার জন্য আমরা তো আর, দায় নেবো না ঘাড়ে,
তাই বলি ভাই,বাঁচলে বাঁচুক, বিশ পারসেন্ট হারে।
দশে কি আর দশটা মরে ,যতই থাকুক ডিল,
শর্ত যদি পছন্দ হয় তবে,কাজের পরেই বিল।
বিলটা নেব, নগদ-নগদ, পরবে বডি যতো,
বডি ওয়ালার পরিবারে উল্কাপাতের ক্ষত।
সেই ক্ষতটা দেখতে আমার দারুণ ভালো লাগে,
ক্ষত শুঁকায়,তাও রয়ে যায়,শুঁকনো ক্ষত'র দাগে।
একটা বডির জন্য নেব, দশটা চোখের পানি,
লাশের পাশেই শকুন বসে,করবে টানাটানি।
সেই দৃশ্য তুলবে, হবে,কাগজ গুলোয় ছাপা,
তাই দেখে লোক মাতম গাবে,কষ্ট বুকে চাপা।
সেই আবেগের পলটুকুতে,শোধ হবে মোর বেতন,
পথে,ঘাটে,নদীর বুকে আমি, গাড়ব মরণ-কেতন।
------------******------------