আমার বাবা মিথ্যে কথার ঝুড়ি,
আমার এখন বয়স উনিশ কুড়ি।

বুঝি না যে এমন তো নয় মোটে,
আমিই কেবল বাবার মানসপটে।

বাবা আমার, আমার তরে রোজ,
সকল বিষয় নিত্য রাখেন খোঁজ।

একটু খানি পেলেই আমি ব্যাথা,
কিসব ভেবে জাগে রাত অযথা।

আমার পায়ে নূতন জুতা জোড়া,
এক্কেবারে চক চকে আনকোরা।

বাবার সাদা জুতোয় মাখা কালি,
দুই জুতাতে আট কি ন'টি তালি।

নূতন গাছের ধরলো যেবার লিচু,
সাতটা ভালো তিনটে পঁচা কিছু।

এক দুপুরে খাবার খাওয়ার পর,
'এই নে রে বাপ লিচু কয়টি ধর।'

নতুন গাছের এইতো প্রথম ফল,
মিষ্টি কেমন খাওয়ার পরই বল।

রাখার পরেই শুধাই লিচুর ডাবা,
তোমার জন্য লিচু কোথায় বাবা?

তিনটে একা সাবড়ে দিয়ে আগে,
দেখছি খেয়ে দারুণ মিষ্টি লাগে।

এই বলে ফের হেসে খানিকক্ষণ,
মিথ্যে বলে যোগায় আমার মন।

তাকাই আমি তারই মুখের পানে,
লোকটা কতো মিথ্যেকথা জানে।

একলা বাবা আধকপালের বিষে,
পাশের ঘরে পায় না যখন দিশে।

বলি বাবা,দেখিতো দোর খোলো,
কইরে বাবু এমন কি আর হলো।

এমনতো হয় সবার ঘুমের ঘোরে,
আসলি কেন ঘুমের ঘাটতি করে।

দিন- দুনিয়ায় সব বাবারাই বুঝি,
এমনই রোজ মিথ্যে করেই পুঁজি।

হেসেই বোধহয় সকল গরল খান,
গড়তে ছেলে মেয়ের জীবন মান।

বিধি তোমায় এই আবেদন করি,
সব বাবাদের জীবনটা দাও ভরি।

     -------******-------
তারিখঃ ২০/০৬/২০২১ ইং
সময়ঃ১০:০০ / মাওয়া