মিনষেটা বেশ খাচ্ছে আমার জীবন কুড়ে কুড়ে,
বউ যেনো নয় বলদ এনে হাল দিয়েছেন জুড়ে।

এই দুনিয়ায় একলাই বুঝি সংসার আমি করি,
একলা রাঁধি একলা বাড়ি একলা খেটেই মরি।

সকাল এখন দশ বাজে তাও তন্দ্রা ছোটে না'ক,
হররোজ তার এমনি করে ফাটিয়ে গলা ডাকো।

কই নেপালের বাবাঠাকুর কোথা তুমি গেলে গা,
কেষ্ট ঠাকুর আমার জন্য আরকি মানুষ পেলে না

গেল মাসেই বোশেখ গেল আজ ফুরোবে জষ্ঠি,
রাত ফুড়ুলে কাল সকালে সাধের জামাই ষষ্ঠী।

তাই তো বলি কদিন হতে ও ন্যাপলার বাবু গো,
এবার কিন্তু ফলের বাজার করবে বড় কাবু গো।

ফলফলাদি সব ভেসেছে কয় দিন আগের বানে,
দুই মাস হতে মরছি কেঁদে নাও না কথাই কানে।

বলছি মরণ আজ পতিদেব এবার ওঠো তবেই,
দাম যা বাড়ুক জামাই ষষ্ঠী খরচটা তো হবেই।

কাল সারারাত তুমি যখন দেখছো নাটক বসে,
আমিও তখন বাজারের এক ফর্দি লিখি কষে।

বিশ হাজারে মাছ হলো আর মুরগী এবার বাদ,
এবার আমার জামাই নিবে আস্ত খাসির স্বাদ।

মশলা বাবদ চারটে হাজার সব মিলিয়েই ষাট,
সব কিছু কম কম লিখেছি আর করো না কাট।

দ্যাখ দেকিনি তাও ওঠেনা কত্তো ঘুমের আকর,
আমি কেবল একলা একাই করছি বকর বকর।

তোমার ঘরে এসে আমার জীবন গেলো জলে,
টিকেই আছো আমার মতোন বউ পেয়েছ বলে।

আর হলে কেউ কবেই যেত উল্টে তোমার ঘটি,
আমি বলেই পড়ছি তোমার সেলাই করা চটি।

জোয়ানকালে যখন আমার চাঁদ ছিল মুখখানা,
অধিকারী আর প্রকৌশলী সব করেছি না না।

যেমনি বিয়ের মত দিয়েছি অমনি গেলাম ফেঁসে,
শেষে কিনা জুটলে তোমার মতন কিপটে এসে।

কি গো তুমি ঘুমাও নাকি করছো কেবল ভানই,
ভালোয় ভালোয় উঠবে নাকি ঢালতে হবে পানি

যাও হাটে যাও ফর্দিটা নাও ঘুম করে দাও রদ,
এবার জামাই খাবেই আমার একুশ রকম পদ।

             -----------*****------------
তারিখঃ ১৬/০৬/২০২১ ইং
সময়ঃ ১০ঃ৩০ ঘটিকা/মাওয়া