কবিতাঃ "অনুরাধা"
কবিঃ বর্ণ
তারিখঃ ২৯/০৫/২০২১ ইং
সময়ঃ ২৪:৩০ ঘটিকা
অনুরাধা ম্যাম আমাদের তেমন মোটে নন,
তোমরা সবাই, তারে নিয়ে, ভেবেছ যেমন।
আজকালকার দিনে বাপু, কাণ্ড বোঝা দায়,
সকাল বেলার আপনি,রাতে তুমি হয়ে যায়।
আবার আমি বলছি খুলে, আমি এবং মিস,
আমরা কেবল একই সাথে,করি যে অফিস।
হাই,হ্যালো এইটুকু ছাড়া,নাই'ক অন্য কিছু,
কাজের টানেই যতটুকুন, ঘোরা পিছু পিছু।
প্রেম,পিরিতি,ভালোবাসা, যত রকম আবেগ,
সকল গেছে জলে ভেসে,সাথে নিয়ে সাবেক।
অনুরাধার সাথে আলাপ, ক'দিন হাতে গোনা,
অল্প কিছু হাই হ্যালো,আর অল্প জানাশোনা।
জানার মধ্যে তাও তা আমি,কতটা বা জানি,
এখনো সে সিঙ্গেল আছে, শোনা কানাকানি।
বাবা-মা কেউ এইদেশে নাই,থাকে দেরাদুনে,
নীল রঙ তার বড়ই প্রিয়, বার্থডে হলো জুনে।
একত্রিশে জুন সালটি হলো, উনিশশত নব্বই,
ফ্লাট জুড়ে তার,সব ঘরেতে,রাখা যত,সব বই।
ভাজি ভুজি, খায়না মোটে,বই পড়া সখ তার,
মাঝে-মাঝে ছড়া লিখে, সখের লেখক আর,
একলা একা বেড়ায় ঘুরে, মোদের অনু মিস,
মাঝে মাঝে শাড়ি পড়ে, কামিজ ও থ্রিপিস।
শাড়ি পড়ে যখন ম্যাডাম, অফিস মুখে আসে,
সেদিন আমি ইচ্ছে করেই,উঠি না আর বাসে।
রিকশার ওপর চেপে বলি, রিকশা ওয়ালাটাকে,
ঐযে,যে ম্যাম যাচ্ছে মামা,ফলো করো তাকে।
রিকশাওয়ালা মুচকি হেসে,বের করে সব দাঁত,
দূর থেকে বেশ, করে ফলো, হিসেব অনুপাত।
অফিসেতে সেই দিনই সব কলিগেরা মিলে,
ট্যাঁরা চোখে চেয়ে দেখে,কিই যেন সকলে।
আমার ইচ্ছে করে তখন, বলি অনু শোনো,
কাল থেকে আর,পড়বে না'ক,শাড়িটি কক্ষনো।
মাঝে মাঝে সাধ করি ফের,অনুরাধা মিস কে,
ডিনার খেতে দাওয়াত করি,আধাআধি রিস্কে।
আমি এবং অনুরাধা, মুন লাইট এর নাইটে,
খানিক পরে ভাবি তারে,ডাকি কিসের রাইটে।
একে কি আর প্রণয় বলে!নিশ্চয় তা বলে না,
এই প্রণয়ের ঠেলাগাড়ি,একটি গজও চলেনা।
---------*******---------