গঞ্জের বুকে গড়েছি সুখের নীড় পিয়া,
ভুলেছি অতীত যত নতুন করেছি হিয়া।
সেকি যান-যট ঝঞ্ঝাট ছাই-কোলাহল অশান্ত,
কাটে দিবা রজনী একদম বুঝিনি তাই কখন এলো বসন্ত।
তোমারে বিনা ফাগুনে ধরেনা পাখি কুহু তান,
তোমারে ভাবি সখি উচাটন মোর মন।
কোথা হতে কোন ফাঁকে এল ফাগুন পেলাম না তা টের
ঘুম হতে ত্বরা হলো না গো জাগা, বেলা হলো ঢের।
গোদূলী বেলায় এসে দাঁড়ায়ে পথের বাঁকে হেরি
বেলা শেষে মেলা শেষে- ফিরছে কিশোরী দোলায়ে কবরী।
হলদে গাঁদায় গাঁথা মালা তরুণীর গলে,
বেণিতে খোঁপায় আরো রক্ত গোলাপ দোলো।
শত লোকের ভিড়ে এক্ষণে তোমারে খুঁজি সখি,
ফাগুন যে আগুন জ্বেলেছে মনে বুঝবে কেউ কভু তা কি?
সুত্রাপুর, ঢাকা।
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০০৯ খ্রিঃ।