হাসমত আলির মনটা খারাপ
আছেন বড় চিন্তাতে,
হাজার কুড়ি মাইনে পেয়ে
টেনে টুনে দিন কাটে ।
সকাল বিকাল বৌয়ে চেঁচায়
অভাব শুধু সংসারে,
কেন বেটার ঘরে এলাম
করল জীবন ধ্বংসরে।
একটু কিছু বললে পরে
বলে বেটা কিপটে বেশ,
এর ঘরণী হয়ে আমার
এক্কেবারে জীবন শেষ।
হাসমত আলি পায় না খুঁজে
কিভাবে যে আয় বাড়ে,
মাস ফুরালে ঠিকই তার
ব্যায়ের বোঝা বয় ঘাড়ে।
বাসা থেকে একটু দূরে
খালেকের ঝুপড়ি ঘর,
তিনশ টাকা রোজগারে সে
খাটে দিন রাত্রি ভর।
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
আধপেটা খায় কোনোদিন,
সংসারে তার নেই কলহ
নেই হতাশা-কোন ঋণ।
হাসমত আলি ভাবে বসে
হিসেব কষে রাতভর,
আয় বুঝে না করলে ব্যায়
ছাড়বে না পিছ অভাব আর।
ভাবতে ভাবতে চিন্তাতে ফের
ভাজ পড়ে তার কপালে,
লাভ কি হবে সংসারে তার
একলা সে হাত চাপালে।
একথাটা বলতে গেলে
বলবে বৌয়ে কিপটে ব্যাটা,
এই চল্লাম বাপের বাড়ি
তোর সংসারে মুড়ো ঝাটা।
নিমতলা, বন্দর, চট্টগ্রাম।
১০মার্চ-২০১৮।