ঘাম ঝরা ঐ পথিক বুঝি
ক্লান্ত হয়ে এলো,
বটের ছায়ায় এসে পথিক
প্রাণ যে খুঁজে পেলো।
নীরব মনে একাকি ভাবে
কত পথ বুঝি পাড়ি দিতে হবে,
কত দূরে আজ চলে যেতে হবে
দুরের ঠিকানায় ।
রোদ্র মাখা ক্লান্ত পথে
পথিক একাকি চলে,
নদীর বাকে কাশ ফুল গুলো
বাতাসে বাতাসে দোলে ।
দুরের মাঝি হাট থেকে ঐ
ফিরলো গায়ের বাকে ,
সাদা বক ঐ ফিরছে নীড়ে
ডানা মেলে ঝাকে ঝাকে ।
সূযটা ঐ ডুবে ডুবে যায়
তবুও পথিক হাটে,
দু চোখ তার রয়েছে তাকিয়ে
সবুজ ফসেলের মাঠে ।
কোথাকার পথিক কে গো তুমি
যাবে কত দূরে,
তুমি কি ভাই নিবে আমায়
তোমার সঙ্গি করে ।
আমি একা ভবের মাঝে
ছুটে বেড়াই আপন কাজে,
আমায় যদি সঙ্গী করো
যাব আমি তোমার সাথে ।
একটু দাঁড়াও ওহে পথিক
শোন আমার কথা,
দাঁড়ালেন চলছে তুমি
তোমার কিসের ব্যাথা ।
বললে না তো কোন কথা
চললে আপন মনে,
তখনো আমি তাকিয়ে ছিলাম
তোমার পথের পানে ।
মনে মনে দুঃখ পেলাম
নিজের কথা ভেবে,
কেইবা আমি কেন তুমি
আমায় সঙ্গে নিবে ।
জানিনা তো কোথায় যাবে
কোথার পথিক তুমি,
আমার আমি সব হারালাম
ভাগ্যহারা আমি ।
তোমার কথা ভেবে ভেবে
কখন সন্ধ্যা এলো।
রাতের চাঁদ নীল আকাশে
আমায় দেখা দিলো ।
ঐ যে আকাশ রাতের তারা
ছড়ায় যত জোসনা ধারা ,
আজকে সকল চলার পথে
আমি হলাম আত্মহারা ।
কেউ ছিলনা চলার সাথী
একা একাই এ পথ চলি,
এমন রাতে তারার সাথে
মনের কথা খুলে বলি ।
পথিক সেত হারিয়ে গেলে
সেদিন বিকেল বেলা,
হলনা আর মনের কথা
পথিক তোমায় বলা ।