কানে ধরে মুঠোফোন,
খ্যাদা ও ন্যাদার আলাপন:-

ন্যাদা : হ্যালো খ্যাদা...
খ্যাদা : বল রে ন্যাদা ।
ন্যাদা : আচ্ছা, তোর কি মনে হয় ,
          যদি কোনো মেয়ে তোর দিকে তাকায়?
খ্যাদা : তাহলে মুখ দেখা দরকার আয়নায়,
           নিশ্চয়ই , খারাপ কিছু আছে চেহারায়।
ন্যাদা : যদি দেখে রোজ রোজ?
খ্যাদা : তাহলে তার নাও খোঁজ ।
ন্যাদা : মেয়েটি রোজ তাকিয়ে থাকে, জানিস্ ।
খ্যাদা : বলিস্ কি! তবে তো কেস্ জন্ডিস্ !
ন্যাদা : মানে !
খ্যাদা : মানে টা পুরো জল,
           তুই শুধু এটুকু বল,
           তোরও কি মন টানে?
ন্যাদা : টানে বলতে... তেমন না,
          তবে, ওকে নিরাশ করবো না ।
          কিছু সংখ্যক ভালোবাসা অবশ্যই পাবে সে ।
খ্যাদা : তা মাপবি কিসে ?
           স্কেলে না দাঁড়িপাল্লায় ?
ন্যাদা : কি? লম্বা আর ওজন,
          সে দেখা যাবে ক্ষণ ।
খ্যাদা : আরে গান্ডু,
          খালি তোর মুন্ডু,
          আমার জানার আকাঙ্ক্ষা,
          কিভাবে মাপবি ভালোবাসার সংখ্যা ?
          ভালোবাসা কি মাপা যায় ?
ন্যাদা : অত জানিনা রে সর্বনাশা,
          তবে আমার মনের আশা,
          ওকে দেব টেন পার্সেন্ট ভালোবাসা ।
খ্যাদা : অ্যাঁ ! আর বাকি নব্বই পার্সেন্ট ?
ন্যাদা : সেটা জানা কি খুবই আর্জেন্ট !
খ্যাদা : বল্ না বন্ধু, শুনি-
          তোর ভালোবাসা ভাগের কাহিনী ।
ন্যাদা : শোন্ তাহলে আমার হিসাব,
          ইট্স হান্ড্রেড পার্সেন্ট লাভ।

          মা-বাবার জন্য পৃথিবীতে আসা ,
          তাই, বাবাকে পাঁচ আর মাকে দশ পার্সেন্ট ভালোবাসা।
খ্যাদা : বাবাকে কেন কম দিলি?
ন্যাদা : আমার পেছনে শুধু করে রাখালি।
          কাজ করে না, বসে বসে খায়,
          আর বকে বকে মাথা ধরায়।
          সমাজসেবী, তার উদার প্রাণ!
          ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান।
          আর, মাকে কেন দিলাম দশ?
          বন্ধু, আমি মায়ের বশ।
          কতো আদর-যত্ন করে,
          সেই মাকে ভুলি কি করে।
          মাকে খুব ভালোবাসি,
          তাই একটু দিলাম বেশি ।
          গর্ভে রেখেছে মাসেক দশ,
          তাই মাকে দিয়েছি দশ।
          তাছাড়াও তো জানিস্ই -
          জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী ।
খ্যাদা : হয়েছে, হয়েছে, বাকি পঁচাশি ?
ন্যাদা : এক শতাংশ জনে জনে,
          ত্রিশ শতাংশ ত্রিশ বন্ধুগনে ।
খ্যাদা : মাত্র এক শতাংশ আমার জন্য !
ন্যাদা : তুই তো বন্ধু অগনন্য।
          বন্ধু মাঝে তুই সবার সেরা,
          গুনতির ভেতর তোকে যায় না ধরা ;
          আমার সব কিছু তো তোরই জন্য ।
খ্যাদা : ঠিক আছে, ঠিক আছে, বাঁচল পঞ্চান্ন।
ন্যাদা : বোন আছে মোট তিন,
          সবার জন্য তিন তিন।
          তিন বোনের তিন স্বামী,
          আধা আধা ভালোবাসি আমি ।
          সবার ছোট যে ভাইটা,
          ওর অংশ পাঁচটা।
          আমার ছোট যে ভাই ,
          ওর জন্যে রয়েছে আড়াই।
          বুড়ো হয়ে গেছে ঠাকুমা,
          দুভাগ না দিলে চলে না ।
খ্যাদা : ছোটকে পাঁচ বড়কে আড়াই !
          বড়টা কি তোর সৎভাই?
ন্যাদা : না, না, আসলে ছোটটা আমার বাধ্য,
          কথা শোনে যথাসাধ্য ।
          বড়টার খুব দেমাক,
         তাই ওর আড়াই ভাগ।
খ্যাদা : আর, আধা আধা বোনের স্বামী,
          এই ব্যাপারটা বুঝলাম না আমি।
ন্যাদা : দেখ্ ,  হাজার হলেও জামাইবাবু,
          শালা এদের কাছে সদাই কাবু ।
          ওদের ভালো না বাসলে অনেক লস্ ,
          তাই প্রত্যেকের হাফ পার্সেন্ট, বস্ ।
          বোন দিয়েছি, সেও এক দায় ;
          ওদের ভালো না বেসে পারা যায়!
খ্যাদা : হুমম, বুঝলাম, বাঁচল কুড়ি ।
ন্যাদা : জানিস্ তো আমি টিউশনি করি,
          ছাত্র-ছাত্রী মোট এক কুড়ি ...
খ্যাদা : হ্যাঁ, জনে জনে এক হলো,
          কুড়ি জনে কুড়ি গেলো।
          আরে ! তোর ভালোবাসা তো ফুরিয়ে গেল!
          ঐ মেয়েটার দশ কোথায় ?
ন্যাদা : তোর মাথায় কিছুই নেই,
          জনে জনে এক দেই !
          সিকি ! সিকি !
         বেশি দিলে ধরবে টিকি ,
          চড়বে মাথায়।
খ্যাদা : ওওও , আচ্ছা, আচ্ছা,
          হ্যাঁ , ওরা তো সব বাচ্চা বাচ্চা ।
          তো, কুড়ি সিকিতে পাঁচ গেল,
          পনেরো পার্সেন্ট বাকি থাকল ।
          দশ পার্সেন্ট ঐ মেয়েটার,
          বাকী যে পাঁচ, সেটা কার ?
ন্যাদা : বন্ধু রে, ওটুকু আমার;
          নিজেকেও তো ভালোবাসা দরকার ।
♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡