জাগো মুসাফির-
ঈশ্বর প্রেরিত দ্বীন খাস্তগীর!
মসি ছেড়ে অসি ধরো মর্দনে দাসত্ব জিঞ্জির!
জাগো মুসাফির-
দিতে হবে হীম ধরিত্রীর রক্ত সিন্ধু পাড়ি'
দম্ভ অন্তে মানব দৈত্যের পঞ্চবায়ু নাড়ি,
অলীকচারী আকাটমুর্খের জোর স্তম্ভ পায় ঠেলিয়া
হে আজাদী হও অগ্রসর আদ্যকৃত্যে হাতে হাত মেলিয়া,
মৃত্যুঞ্জয়ে চিরনন্দিত নন্দন তাপিত মননে হে পরার্থীর!
জাগো মুসাফির-
ঈশ্বর প্রেরিত দ্বীন খাস্তগীর!
তুমি-বজ্রধারীর,বজ্রদ্রপি,ভূষ্টিনাশ,
সংবিৎশক্তি,তুমি সংবেগ,তরঙ্গায়িত উচ্ছ্বাস,
তুমি সংবর্তক,দ্রোহি,সংজ্ঞিত খুন-ভূস্বামীর!
তুমি সংস্কার,
তুমি বিদ্রোহীকে কেউ নেই রোধবার!
তুমি বিনয়ী,কোমল,
তুমি রোষে উঠো যবে দৈন্যের স্বাধীনতা গ্রাসে উন্মুখ শকুনের দল!
তুমি মহাদর্পণ,কাল কর্তনে,বিস্ফোরণ,
তুমি নিস্তেজ জাতির উজ্জীবিত আশিস রূপে হও আগমন,
তুমি উল্থান,পতনচ্যুতি চির ভাস্বর কাল আবর্তে এই সপ্তর্ষির!
তুমি সত্যের বাহক,দ্বীন বীর নির্ভীক সৈনিক ঈশ্বর দোস্তি খিজির!
জাগো মুসাফির-
ঈশ্বর প্রেরিত দ্বীন খাস্তগীর!
তুমি বহ্নি,তুমি দগ্ধি
তুমি দীপ্ত প্রভা-প্রসারিত পৃথ্বী ধ্বংস অব্দি!
তুমি শমশের,বিচুর্ণে দাও দাম্ভিক দন্ধ,
তুমি অসুর চোখে দেশদ্রোহী তুমি মূল বিশ্বাসে অন্ধ।
তুমি উদার,তুমি শিষ্ট,তুমি শাশ্বত রোল,
তুমি কঠোর,কোঠোরতায়'মহা হুমকি'
পুঞ্জীভূত জ্বলন্ত রক্তিম লাভা ভস্মি'
জ্বলসিত বিদগ্ধ বুকের সহস্র হোল;
তুমি মুক্তমনা-সিন্ধুর কল্লোল।
তুমি বীর্য্য বংশের,উত্তরসূরী জন্মদগ্ধি রোদ্দুর খা খা',
অসত্যরে জ্বলাঞ্জলি,বিচুর্ণে দাও শাসকের পরাধীনতা!
তুমি সংঘাত,তুমি দণ্ডা!
তুমি তপ্ত দহন,তুমি বর্ম পতন স্বৈরাচারীর;
তুমি জালিমের-ত্রাস,ব্যভিচারে দৃঢ় সোচ্চার ইতিহাসে-নজির।
জাগো মুসাফির-
ঈশ্বর প্রেরিত দ্বীন খাস্তগীর!
তুমি বিপ্লবী,তুমি বিক্ষুব্ধ,অন্যায় কুঞ্চিতে দাও ব্যভিচারী,
তুমি দুরন্ত উন্মুখ খুন,দুর্গম তূণ,তুমি পতন স্বৈরাচারী!
তুমি উদ্ভিগ্ন উচ্ছ্বাস,তুমি স্থির অবরুদ্ধে টলনা এক চুল,
তুমি দুর্জয় তুমি প্রত্যয়,
তুমি প্রহসনে ভীমরুল,তুমি শত্রুর নাসারন্ধ্রে ফোটাও হুল!
তুমি সর্বহারা,বঞ্চিতদের আশ্রয় দাতা মানবিকে-উদার মহি,
তুমি সংগ্রামী সৈনিক-ক্ষয়িত্র সুত রাজরাজেশ্বর,তুমি দ্রোহি!
তুমি ঝঞ্জা শাসক রুধির,
তুমি পরিযায়ীর দীর্ঘশ্বাস হাহাকার,রুদ্ধদ্বার তুমি চির মুক্তির!
তুমি ত্রিশুল হস্তে মম ভৈরবী ভঙ্গুর অরাজ প্রাচীর-জড়তা শাসকের,
তুমি হালাকু,মহানায়ক ফিদেল বীর্য্য-সেনা,তুমি অপ্রতিদ্বন্দ্বী সত্যের!
তুমি সেনানী বীর-খুন মুলুকের মহাকাল, করিয়াছো চৌচির,
জোর কদমে চলো হিংস্রতা বর্জনে-তুমি হায়দারী হাঁক গুরুগম্ভীর!
তুমি ডের আতঙ্কে নিদ্রা ভঙ্গ-শিশুর তনু মন গুটিয়ে নেওয়া শিহরণ,
তুমি বিকল জাতির স্বপ্ন আশা,দুঃখ সুখের সহযাত্রী আমরণ।
তুমি ঈশ্বর ভৃত্য,বক্ষে ঈমানী-জোর
তুমি পদাতিক বীর-মর্দনে ঐ আদিপ্রত্যের নিষ্প্রভ অমসা ঘোর!
তুমি পুরুষত্বের ঔদ্ধত্য হাত-দমিত স্পর্শমণি-মৃত্যুর মুখে গেয়েছো সাম্যের গান
তুমি বিশ্ব মর্ত্যের অধিপতির বিধান অমুসলিমরে করালে পাঠ কোরআন।
তুমি লক্ষ্য ভষ্ট্রের-পথ প্রদর্শক,তুমি আধারের বুক ছিঁড়ে জ্বলে উঠা দীপ্ত রবি,
তুমি মৌন মিছিলে-বজ্রহুংকার,তুমি ঘূর্ণি,বৈরী, উথলি,বাদল-উপদ্রবি।
তুমি বধের চোখে ঘৃণার পাত্র প্রভু ভক্তের চোখে আশির্বাদ!
তুমি করনি শির নত কভু মাননি হার,টুটেছো অসুরের রাজপ্রাসাদ!
তুমি মহাসিন্ধুর সাম্পান,অভয়ারণ্য,তুমি একাকীত্বের দহন,
তুমি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ছিঁনেছ জয়,বীরত্বে ধসেছো তাগুত কীর্তন।
জাগো উচ্ছ্বাস মওজে উন্মাদ কুঞ্জনিয়া
জালিমের দাসত্ব পিষও পদতলে,
তুমি কৃপাণ হাতে তোলো ঝংকার অবিনাশী তুফান বেদীর রাজ বিশৃঙ্খলে!
তুমি এক সমুদ্র রক্ত স্রোতে ভাসিয়েছ,দ্বীন দুমশনরে বিলীন অতল,
তুমি এক ঈশ্বরের-দ্বীন কায়েমে কাঁপিয়েছো ক্রোধের অঞ্চল!
তুমি তড়িৎ বেগে ছুটে ধশে যাও দুস্কৃতির উঁচ্চ আলিশান স্তম্ভ,
তুমি বীর সিপাহী অকোতভয় রণ-যোদ্ধা চুর্ণিশে যাও দস্যুর দম্ভ।
তুমি ন্যায়-নিষ্ঠাবান,সৎ
তুমি দিক নির্দেশক,পরম মিত্র পথহারা পথিকের দৃষ্টিগোচর বৃহৎ
তুমি ধর্ম যাযক,তুমি সৃষ্টিকূলে ধন্যি,
তুমি বিজ্ঞ,জ্ঞানী,তুমি মহৎ,তুমি উপাসন্নি।
তুমি ত্যাজবান,তুমি বিকল,তুমি অরন্য,তুমি ধূসর মরু,
তুমি নাদান,জাগ্রত প্রাণ।
তুমি হাক্কানি বীর,দ্বেষ-বিদ্বেষীর চোখের তীক্ষ্ণ শূল বুজুর্গ
তুমি প্রমোদধ্বনি,ক্ষোরধার কম্পিত ঐ দুস্কৃতকারীর দুর্গ;
তুমি মহা-দণ্ড,কর্তন-খুন পিপাসুর দাস-দাসকীর।
তুমি মরসিয়ার ঐ,মর্মপীড়া মর্ত দৈন্যের-সহযাত্রী সমব্যথীর।
জাগো মুসাফির-
ঈশ্বর প্রেরিত দ্বীন খাস্তগীর!
তুমি অবিনাশী,দ্বীনই-সৈনিক,
তুমি এক খোদায়ীর,বশ্যে নত,অটল স্থির বিধাত্রিক।
তুমি সাম্যের ঝঞ্ঝা চির উড্ডীন,তুমি ধ্বংসের ইঙ্গিত,
তুমি রুদ্ধ,বেদীর রাজ্যে বোধের গর্জন দ্রোহের সংগীত!
তুমি দুর্বহ সোনামী,তুমি নার্গিস,সোল্জার,
তুমি দুর্বাচ্যে দুর্নিবার বিদ্রোহী -হুঙ্কার,
তুমি দিগ্বিজয়ী-শমশের,দাম্ভিক কুগর্ব করেছো লণ্ডভণ্ড
তুমি বক্রতা নিধনে,হিলে খাঁড়া অসুর কর্মক্ষম-পণ্ড!
তুমি মুক্তি,বন্দিদশার,স্বপ্নদ্রষ্টা-আশিস,
তুমি বজ্রাগ্নি-দগ্ধ,তীব্র গরল পানীয় বিষ।
তুমি শম্পা,গন্ধবাহ,উচ্ছ্বাস,তুমি-মুচকি হাসি হেসে কণ্ঠে ধারস্থ ফাঁস!
তুমি দুর্দশীতায় হাঁকিয়েছো কুলীশ অসভ্যে গ্রাস!
তুমি বিপ্লবী,তুমি বিক্ষুব্ধ,অন্যায় কুঞ্চিতে দাও ব্যভিচারী,
তুমি দুরন্ত উন্মুখ খুন,দুর্গম তূণ,তুমি পতন স্বৈরাচারী!
তুমি উদ্ভিগ্ন উচ্ছ্বাস,তুমি স্থির অবরুদ্ধে টলনা এক চুল,
তুমি দুর্জয় তুমি প্রত্যয়,
তুমি প্রহসনে ভীমরুল,তুমি শত্রুর নাসারন্ধ্রে ফোটাও হুল!
তুমি সর্বহারা,বঞ্চিতদের আশ্রয় দাতা মানবিকে-উদার মহি,
তুমি সংগ্রামী সৈনিক-ক্ষয়িত্র সুত রাজরাজেশ্বর,তুমি দ্রোহি!
তুমি ঝঞ্জা শাসক রুধির,
তুমি পরিযায়ীর দীর্ঘশ্বাস হাহাকার,রুদ্ধদ্বার তুমি চির মুক্তির!
তুমি ত্রিশুল হস্তে মম ভৈরবী ভঙ্গুর অরাজ প্রাচীর-জড়তা শাসকের,
তুমি হালাকু,মহানায়ক ফিদেল বীর্য্য-সেনা,তুমি অপ্রতিদ্বন্দ্বী সত্যের!
তুমি সেনানী বীর-খুন মুলুকের মহাকাল, করিয়াছো চৌচির,
জোর কদমে চলো হিংস্রতা বর্জনে-তুমি হায়দারী হাঁক গুরুগম্ভীর!
তুমি ডের আতঙ্কে নিদ্রা ভঙ্গ-শিশুর তনু মন গুটানো থরথর কম্পন,
তুমি বিকল জাতির স্বপ্ন আশা,দুঃখ সুখের সহযাত্রী আমরণ।
লড়াকু বীর বিচুর্ণে দিয়েছো দাঁতাল দস্যুর ঘাঁটি-
বৈরী বানে লণ্ডাকার ষণ্ডারের পায়ের তলার মাটি।
তুমি সরল,তুমি গরল,
তুমি সুবোধ তুমি পরম বন্ধু চির নিপীড়িত বঞ্চিতদের মনোবল-!
তুমি সৌর্য্য বংশের উত্তরসূরি,
সদা-জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী নির্ঘুম,
হিংসুকের মননে তীক্ষ্ণ কাটা দ্বীন প্রেমিদের শুভাকাঙ্খি দিলের কুটুম,
মুক্তিরপন্থা রোধকার পাপ-বর্বরি
তুমি শমশের অসত্যে যাও লড়ি,
তুমি দুর্দিনের লাঞ্চনা,অবজ্ঞা,ঘৃণা বুকে চাপিয়া,
চল হিম্মত রেখে বুকে জোর কদমে অপশক্তির রাজত্ব দাঁপিয়া!
তুমি বিপ্লবী বীর-এক খোদায়ীর বিধান রহী বাহনিয়া!
তুমি দূর্গম পথিক,নির্ভীক সেনাপতি,
সাম্য মৈত্রী গড়েছো হটিয়ে-কাল দুর্গতি,
তুমি আঁধার ভূমে আগন্তক প্রোজ্জলিত আশিস জ্যোতি!
তুমি শম্পা,বিচলিত মহা বজ্রধ্বনি,
তুমি শঙ্কা-আকস্মিক,চমকিত-শৈল ধমনী!
তুমি চির অক্ষয়,তুমি অবিনাশী,
তুমি মৃত্যুর গহ্বরে হাসিয়াছো তৃপ্তির নির্মল ঈশ্বর জয়ী হাসি!
তুমি দুর্ভর,তুমি প্রলয়,
তুমি দুর্নীবিত,দুর্জ্ঞেয়, দুর্ভেদ্য,দুর্মোচ্য তুমি দুর্লক্ষ্যময়!
তুমি দুর্নীত দুর্মুখ নরঘাতক প্রাণে ভীতি সংশয়,
ত্রিদিবকূলে দোষাশ্রিত তুমি দীপ্ত নূরময়
এক বিভূর-একত্ববাদে তুমি নির্দ্বিধায় হও নত,
তুমি বিরাগ ধেনুর যবনিকায় উৎসুক,উন্মুখ কৃশানু জ্বলন্ত!
তুমি বাতুল,তুমি অতুল,
তুমি ঘোর পাশ্চাত্যে,বিস্ময় জাগা দীপ্ত জ্যোতি উদয়ান্দে মশগুল!!
তুমি ন্যায়ের প্রতীক ব্যভিচারে সোচ্চার,
তাড়িয়েছো পাপ ভুখণ্ডে,হাঁকিয়েছো বজ্র-হুংকার!
তুমি সাম্য এনেছো-বিদ্বেষ দ্বন্দ্বে,
তুমি অধীনস্তে এনেছ পরাজয় খুন পিশাচের অন্ধ চিত্তের রন্ধ্রে রন্ধ্রে,
হাঁকিয়াছো-গর্জন পেষণে-কুচক্রান্ত,
তুমি ক্রোধের বশে হওনি বিভ্রান্ত,
বন-হংসির গ্রাস আল্ফালন-মর্দনে ঐ পাপাচারের খুন অখিলা
স্বৈরশাসকের দাম্ভিকতা ধসে লড়েছো আমরণ-পণ্ডকারে বায় উর্মিলা,
দর্পহারীর-কুচক্রান্ত,
তুমি ক্রোধের বশে হওনি বিভ্রান্ত।
তুমি সংগ্রামী বীর,অহিংসতার ঘোর ভূখণ্ড-করিয়াছো চুর্ণ;
তুমি জৌলুসে নও অর্পণ;অবিনাশী-ঝড়োহাওয়া বিশ্ব মর্ত্যে ঘূর্ণ।
তুমি সংগ্রামী মুসাফির-
মৃত্যুঞ্জয়ী কাঁপিয়েছো কুরুক্ষেত্র,অলীক অধীশ প্রাচীর!