আমি যখন হবো তোমার দৃষ্টিচোরা টানবো চিরদিনের সুদূর আড়াল
পাগল বেশে ঘুরবে তখন বলবে লোকে কারবা সুখে হলে এমন কাঙাল–
পুড়বে ভীষণ পুড়বে!
শোকের উনুন জ্বলবে বুকে
মনস্তাপে কাঁদবে মাথা ঠুকে
আমার অভাব খাবে চিবি
আঁধারে ছাঁইবে পৃথিবী,
জ্বলবে ভেতর জ্বলবে–
দিক হারিয়ে চলবে,
ভোগবে ভীষণ শুণ্যতাতে,আবোলতাবোল বকবে
নিজেরই অজান্তে নিজকে নিজে প্রশ্নবিদ্ধে ঠকবে-
নিরল বসি আমায় জপবে
হাহু-তাশে অবশেষে
একলা ঘরে বন্দি বেশে
কাটবে তোমার তোপের জীবন
সঙ্গের সাথী দহন পীড়ন
দগ্ধ মোমে গলবে
ছলকে উঠে ধলবে!
হিসাব কষতে বসবে যখন নোনা জলে পাষাণ বুক ভাসাবে
হরহামেশাই–ঘোর হতাশা তখন তোমায় অহর্নিশ শাসাবে?
দুঃখগুলো খুব ফাঁসাবে!
অতর্কিতে ধরতে চেঁপে
ক্ষীপ্ত হয়ে উঠবে ক্ষ্যাপে!
ভাঙবে তোমার বুকের ছাতি
দস্যি হাতে অপঘাতি
ব্যাকুল হয়ে কাঁদবে–
কি দিয়ে হায় বাঁধবে!
ব্যথাগুলো হিংস্র হয়ে করবে যখন তোমার বক্ষ ছেঁদন
চেষ্টা যবে বিফল জানবে তোমার বুকে উঠবে ছেঁপে বেদন–
ভেতর ভাঙবে ভীষণ!
কাঁদবে তুমি নিরবধি
চোখের বানে হবে নদী!
প্রিয়হারা অগ্নি জ্বালা
কে পরালো ব্যথার মালা
দোষবে কাকে দোষবে–
গভীর শোকে রোশবে!
ঠোঁটে তোমার কষ্টেরই ছাঁপ,নীল দহনে জ্বলবে দিবারাত্রি
অভিশপ্তে–এই দুনিয়ার প্রেমিক চোখে রবে ঘৃণার পাত্রী!
কেউ রবে না সহযাত্রী!
থাকতেও হাজার আত্মীয়জন
তোমাতে সবার অনশন
নীরব রবে কঠোর পণে
তখন আমায় পড়বে মনে
হন্যে হয়ে খুঁজবে-
ব্যথা হৃদে সুঁচবে!
যতই রাখো আসন পাতি-ফিরব না কখনো তোমার ধারে
বৃথাই যত বসে থাকো আমার আশে হিজল বনের পাড়ে!
ফেললে যারে অন্ধকারে!
ডাকে কেনো এমন হারে
এই আমারে নিন্দাকারে
রাখলে দূরে অবহেলায়?
সেই বেদন কি আর ভোলা যায়?
মুখ লুকে যেই ছুটলে-
ব্যথার শেলে ফুটলে!
আমার চৈত্রে পুড়া মন কাননে আসবে,ফাগুন ফুল সুবাসে খোশ আনন্দে
হয়তো তুমি মুগ্ধ আবেগপ্রবণ কোনো কবির নিটোল প্রেমের ছন্দে-
আমার সাথে দ্বন্দ্বে!
থুবডে পড়লে গভীর খাদে
তুমি কিন্তু ভীষণ ফাঁদে
চলছ হরদম উল্টো স্রোতে
পারবে কি তার কিনার ছোঁতে
ভণ্ড প্রেমিক লুটবে-
শেষে ফেলে ছুটবে!
সেইতো জানি আসবে ফিরে আমার ধারে সেদিন কপাট তালাবদ্ধ
নীড় হারা ঐ পক্ষীর মতো ঘরের খোঁজে ঘ্যাড়াকলে হয়ে যাবে জব্দ-
প্রেম কি অচল পদ্ম!
পান করিয়ে বিষ পেয়ালা
বিষে বিষে অন্তর কালা;
তোষানালে বুকটা ছারখার ,
এ জ্বালা তো না সহিবার!
অভিশাপে পুড়বে-
পুকুর খনন খুড়বে!
কেউবা এসে তোমার বুকে বুঝবে তখন কি জ্বলনী,
আমার মতো শোকাতুরে-হাহাকারে ভাঙবে খুন নয়নী-
ত্রিপ্রহর রজনী!
দুখের পরেই আসে যে সুখ
সেই ক্ষণেরই আমি উন্মুখ!
দেখবো কতদূর যাও কাল নায়
চক্ষু সাগর যাবে শুকায়!
অসহায়ে ঘিরবে-
দুঃখ বুকে ভিড়বে!
আর্তনাদের উঠবে ধ্বনি,ভাসবে মুখে শোকের চন্দ্রন,
তোমার দুঃখে খোশ উল্লাসে,হাসবো দেখে কঠিন পতন-
হবে গর্বের চুর্ণণ!
দুর্ভিখ ক্ষণে কেউ নেই পাশে
গিলতে ধেয়ে যম হা-গ্রাসে-
মিথ্যে ছিল সকল চাওয়া
মরণ শেষে করবে ধাওয়া?
ব্যাথার পাহাড় জমবে,
কোন্ কিছুই না কমবে!
অহংকারের ঘটলে পতন-হবে সেদিন সর্বশান্ত
রূপ যৌবনে পড়লে ভাটা হয়ে যাবে চির ক্ষান্ত–
ধরবে দেহে পঁচন।
কাঁদবে তখন ভুল মাশুলে
ছিঁড়ে খাবে ঘুন আশুলে
বয়স যায়না রাখা বেঁধে
বাড়ন্ত সে সৃষ্টি ভেদে?
খসবে তখন খসবে
হিসেব সেদিন কসবে!