এসো হে বীর ভয় উপেক্ষা রণাঙ্গণে আবার অরাজকে লড়ি?
এসো হে বীর অসভ্যতার দাঙ্গা হাঙ্গামায় বিদ্রোহ গড়ি।
অসৎ নিধন উৎফুল্লে হোক সাম্যের ডাক।
জাগো সর্বনাশী নার্গিস,সুনামিতে হানো আঘাত বেদীর প্রাচীরে
জ্বালাও আগুন পদশব্দে নাড়িয়ে দাও ভঙ্গুর পৃথিবীরে;
পঙ্গুত্বে ফের হানো বজ্রনিনাদ তুলো সিংহের গর্জন
জুলুমশাহীর দাম্ভিকপনা নিপাত যাক।
প্রতিরোধে দুর্গ গড় ধুলিস্যাধে অনাগত কাল দুর্গতি
বুকে ধরে দৃঢ় প্রত্যয় চোখে রেখো বিপ্লবীর সম্মতি
দেখি রুখে কে এই রণতূর্যের সম্ভাবনাময় অগ্রগতি,
বিশ্বজুড়ে হে বীর উঠুক গুঞ্জন তোমারই জয়জয়কার?
ভেদ-বিভেদে সংকীর্ণ পৃথিবীর বুকে নিবাসে জঘন্য
লড়ো মৃত্যুর মুখে অমরত্বে কি ভয় রয়েছো প্রসন্ন?
জাগো হে বীর অগ্নিদেবীর রক্ত প্রাসাদ চুর্ণিশে হও ধণ্য!
যুদ্ধে ছিঁনে আনবে বিজয় হোক অঙ্গীকার।
বাতিলের বুক ক্ষতবিক্ষতে ফের মুক্তিতে পণ করি,
চল হিংসা বিদ্বেষ ভুলে একত্রে অসত্যে লড়ি?
রুখে দাড়াও ছিঁড়ে ফেলো অনিয়মের শৃঙ্খলদড়ি,
এসো হে বীর সমর্থনে সত্যের দর্শন।
জঞ্জাল রুখি এসো তরুণ আগ্রাসীতে ছোটে
শত্রুর ঘাটি পুড়ে বশ্য করো অগ্ন্যুৎসবে ফোটে,
খুন-ধর্ষণে ধর্ষকের প্রাণ বিকলাঙ্গে
উপেক্ষা দাও হে নবীনগন?
পদপিষ্টে এসো নাবিক রূপে যাযাবরের জীবন ছাড়ি,
বেহায়াপণ রাজ্যে বজ্রপাতে ধ্বংসাত্মক কড়া নাড়ি;
কতকাল চুপ রবে জাগো হে নওজোয়ান
কেঁপে উঠুক জালিমের প্রাণ!
ভেঙে ফেলও গোলামীর জিঞ্জির পরিহিত লৌহকারা,
মহাত্রাসের আগ্রাসনে পুড়িয়ে দাও খুন—সাহারা
বজ্জাতের ঐ বন্য প্রাণে যাও দাড়িয়ে মৃত্যুসম খাঁড়া
স্বচিত্তে নির্ভয়ে কণ্ঠে দারস্থ কর বিদ্রোহের গান।
সম্মুখেঐ হাস্যোজ্জ্বল আগত সুদিন আগুয়ান?