কত টুকুই বুঝি তখন সবে মাত্র ষোল,
ইদানীং চুলের মাঝখানে সিথীঁ ফেলে
আয়নার সামনে বারবার দাড়াতে ইচ্ছে করে।
ইচ্ছে করে শার্টের কলার একটু উচু করে রাখতে।
পরক্ষনেই ভয় হয় বড়রা যদি কেউ দেখে ফেলে।
জামার হাতা গোটাতে বেশ ভালই শিখে ফেলেছি
হাতের ঘড়িটাও লাগছে বেশ।
চার দেয়ালে আবদ্ধ থাকতে
বেশিক্ষন ভালই লাগেনা
ভাল লাগেনা বইয়ের পাতা উল্টাতে।
দুপুরের তপ্ত রোদের তেজ একটু কমে এলেই
দ্বিচক্র যান নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি ওপাড়ায়
গলায় গুনগুন করে গান চাপা স্বরে ।
দুরের কোন রেড়িওতে গান ....
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা।
এপাড়ায় আসতে ভালই লাগে
দুচারটে বন্ধু জুটালে মন্দ হয়না
প্রায়ই ছুতো খুজি যদি দেখাপাই তার মুখখানি।
বুঝিনা আজকাল কিছুই ভাল লাগেনা
দিনের পুরোটা সময় কাটে
একা আর একাকীত্ব নিয়ে
মনে মনে মুচকি হেসে
প্রায়ই মনে করি তার মুখ।
সত্যি বড় মায়াবী সে মুখ
বড়ই মায়াবী সে মুখের হাসি।
তার স্কুল থেকে ফেরার পথে দেখা হবে ভেবে
দীর্ঘ বিকেল পার করেছি অনায়াসেই
তাকিয়ে থাকি যতক্ষণ দেখা যায় তাকে
ফিরে চাইলেই আমি খুন হয়ে যাই সুখের অসুখে।
পড়ন্ত বিকালে মরা রোদের আলোয়
তার সোন্দর্য্য মিশে একাকার ।
গোছালো পরিপাটি করে বাধাঁ তার চুলগুলো
ইচ্ছে করে একটু ছুয়ে দিতে,
ইচ্ছে করে;ইচ্ছে করেই এলোমেলো করে দিয়ে আসি তার দীর্ঘ কালো চুল।
শুধু দুর থেকেই ভাবা,
কাছে যাওয়ার সাহসই হয়না।
তার লাল সিল্কের ওড়নাটা কিযে ভাল লাগে,
বলে বোঝাতে পারবনা।
মনে মনে ভাবি এক্ষুনি বলে আসি
সখি ভালোবাসা দাও
বুকের বাঁ পাশে যত্ন করে রাখবো নষ্ট হবেনা।
দুর থেকে এসব ভাবতে ভাবতে
কখন যে বিকালের সৌন্দর্য্যের সাথে
সন্ধ্যার আড়ালে হারিয়ে গেল
আমার নীলাঞ্জনা;টেরই পেলাম না।