তন্দ্রাচ্ছন্ন অলসতায় ভরা-
অনিচ্ছার সাগরে ডুবে থাকা যে সকাল;
সেই ঘুমন্ত সকাল আমার নয়,
সেই সকাল অন্য কারো ।

প্রণয়িনীর প্রিয়মে তুষ্ট হয়ে-
শয়নকক্ষের পাশবিকতায় যে কর্মবিমুখ দুপর;
সেই অলস দুপুর আমার নয়,
সেই দুপুর অন্য কারো ।

নগর যান্ত্রিকতার বলয়ে আবদ্ধ-
দিবাস্বপ্নের স্তুপে সাজানো যে বিকেল,
সেই ব্যর্থ বিকেল আমার নয়,
সেই বিকেল অন্য কারো ।

অর্থে কেনা বিলাসীতার আলসতায়-
ভুরিভোজনে ব্যস্ত যে সন্ধ্যা,
সেই সন্ধ্যা আমার নয়,
সেই সন্ধ্যা অন্য কারো ।

অতৃপ্ত তৃষ্ণায় আচ্ছন্ন-
উন্মত্ত ক্ষুধার আগুনে তাড়িত যে সকল বিনিদ্র রাত,
সে রাত আমার নয়,
সে রাত অন্য কারো ।

যে অর্থহীন দিবস রচে ইতিহাস,
যে ক্লিশ্ট দিবসে উদ্বায়ী হয় মোহেরা,
যে তৃষ্ণার্ত দিবস ত্যাগে তোতাসত্ত্বা,
যে বিদ্রোহী দিবস ভাঙে যান্ত্রিকতা,
সে দিবস আমার-
একান্ত্ই আমার ।

যে দুর্ভিক্ষের রাত গিলে নরভক্ষীদের,
যে ক্ষুধার্ত রাত জাগে জ্ঞানের তৃষ্ণায়,
যে অক্লান্ত রাত পেরোয় কর্মক্ষমতার গন্ডি,
যে উদগ্রীব রাত বিভীষিকাময় যৌবন হয়ে-
হত্যা করে নরপশুদের,
ছিনিয়ে আনে মাতৃকার স্বাধিকার,
সেই সকল রাত আমার-
একান্ত্ই আমার ।