বদ্ধ ছন্দময় অলস অনুভূতিহীন কৃত্রিমতাকে
মুক্তি দেব বলে ভাবছি;
সেই অনুভূতিহীন কষ্টার্জিত ছন্দময়তা
যা বহু সাধনার ফল । (যে সাধনায় পাওয়া যায় মৃগনয়নীকে)
ক্রমবাচক ছন্দে আবদ্ধ রূপক শব্দগুচ্ছ,
যাকে প্রতিনিয়ত গিলে শব্দভুক পদ্যব্যবসায়ীরা;
তাকে উড়িয়ে দেব ভাবছি ওই ধূসর নীলে
যা বহু ছান্দসিকের সিমাহীন ত্যাগের ফল । (যে ত্যাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হ্ওয়া যায়)
অস্থিরতায় মরচেপরা সাদা মেঘের অনবরত ছুটাছুটি;
আর তাদের ঠুকাঠুকিতে সৃষ্ট তরঙ্গহীন সুর,
সেই সুরকে ভাসিয়ে দেব ভাবছি বর্ষাস্নাত দেওদার বনে
যা সেই সুরহীন কাষ্ঠলদের অন্তহীন তৃষ্ঞার ফল । (যে তৃষ্ঞায় অমবস্যা রাতে পূর্ণিমা গেলা যায়)
ভাবছি সেই সুর,ছন্দ বিসর্জন দিয়ে ভাসব প্রশান্তীয় লবনাক্ত তায়
যাকে সবাই প্রত্যহ দ্যাখে নৈসর্গিকতার ছোয়ায়
অন্ধ পাগল অথবা মাতালের মত,
তাই ভাবছি লবনাক্ত দিবাস্বপ্ন হয়েই ভেসে যাব
বৃত্তবন্দী ওই সুরহীন নগরীর ছন্দহীন কাব্যের নৈসর্গিকতায় ।