এসো! হে অতিথ
এই বর্ষামেদুর সন্ধ্যায়।
রাঙাও সামার ডিলাইট।
এসো হে সখা প্রাণের পূর্ণতায়,
যেথা হারিয়েছে শত প্রাণ।
এসো এই কাঙ্ক্ষিত মেলবন্ধনে।
গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে ক্লান্ত পথিকের ন্যায়
ছুটে এসো ক্ষিপ্র গতির চিতা হয়ে
কিংবা খরগোশের গুটি গুটি পায়ে এই সন্ধ্যায়।

এসো! অতিথ
দেখো কত আয়োজন করে রেখেছি
তুমি আসবে বলে।
বৃষ্টিকে না বলেছি,
তোমার কণ্ঠে বৃষ্টি নামবে বলে।
ঝিঁঝিঁদের ছুটি আজ,
তোমার কথা শুনব বলে।
জোনাকিদের থামতে বলেছি পথে,
তুমি আলো বলে।
ময়ূর না করেছে
অনেক ময়ূরীর ভিড়ে আজ রূপ ম্লান বলে।
কাঠবিড়ালিরা লুকিয়ে গেছে
এত চৌকসের ভিড়ে।
তোমার আসার পথ রাঙিয়েছে
পানশির কৃষ্ণচূড়া।
পাপড়ির দল থেকে সব লাল
আজ তোমার জন্য।
ময়ূর দিয়েছে পেখমের নীল।
তুমি কবি, কবিতা, ছবি, ক্যানভাস,
আবৃত্তি, সুর, ছন্দ, উপস্থাপনা,
নৃত্য, গীত, শাস্ত্র, মুনি, ঋষি
তুমি প্রাণের এবিসি।

এসো! অতিথ
তোমার জন্য সাজানো মঞ্চে
আজ তোমার দিন।
উজাড় করে দাও হয়ে হুররাম হয়ে
সুলেমান আজ ভালোবাসুক সব ভুলে।
উগড়ে দাও, বিলিয়ে দাও নিজেকে ভালোবাসায়।
ভালোবাসা মাখামাখি করে
আজ শুদ্ধ হই, তৃপ্ত হই, শীতল হোক প্রাণ।
জমে থাকা কতশত কথা
পাঁজরে লুকিয়ে রাখা কষ্টের "আহ"!
এবার মুক্ত কর তাকে।
ভালোবেসে ভালোবাসায়
চলো হয়ে যাই প্রেমের জোড়া শালিক।

জানতে!
কাঠফাটা তপ্ত দুপুরে
অসহায়ের মত পড়েছিলাম শস্য ক্ষেতে
কাঙ্খিত বৃষ্টির আশায়।
খোলসের আবরণে
কত আকুতি ছিল পৃথিবী দেখার।
অপেক্ষা - একমুঠো ভালোবাসা
আর এক পশলা বৃষ্টি।
এলো! হালের চাষী ওরা এলো।
যতন করে তুলে নিল বীজতলায়।
আকাশ ভেঙে ডাকলো।
কাঙ্ক্ষিত স্পর্শে জেগে উঠলাম প্রেমিকের।
দুহাত তুলে জানান দিলাম আছি,
এইতো জেগে আছি তোমার অপেক্ষায়।
ওরাও জানে; কতটা গড়িয়েছে জল!
খোলসের আবরণে আটকে
পৃথিবী দেখার আকুতি।

ভিসুভিয়াস এর লাভার উদগীরণ
আজ শান্ত-শীতল হোক এই প্রান্তরে।
"না" কে ভুলে যাও,
জানিয়ে দাও তোমার অস্তিত্ব।
এই, এখন, আজ, কাল, পরশু
সকল সময় এখন থেকে
বলবার, জানবার, জানাবার।
এইতো সেদিন স্বর্গের দ্বারে দাঁড়িয়ে দেখেছি
আমি একা নই কেবল।
অনেকেই আছে যারা ফিরেছে
ফেলে নরক যন্ত্রণা।
কি হাসি মুখ! কি নিষ্পাপ! কি আনন্দ!
এই প্রাণের মেলবন্ধনে।
আজ হৃদয় খুলে বল
না বলা কথা।
তপ্ত হৃদয় শীতল হোক,
এই বর্ষামেদুর সন্ধ্যায়
এবিসির ভালোবাসায়।