স্বাধীনতা! স্বাধীনতা !! স্বাধীনতা তুমি !!!
স্বাধীনতা তুমি হিংস্র বুলেট,
রক্তেভেজা কৃষ্ণচূড়া।
ভাইয়ের লাশে ঢাকা রক্ত চাদর।
তুমি কান্নাভেজা আকুতি জড়ানো
মায়ের আঁচল।
কফি মগে চুমুক দেয়া বাবার ঝাঝরা দেহ।
কাক - শেয়াল - শকুন,
তুমি খুবলে খাওয়া লাশ।
তুমি স্মরণের ইতিহাস। তুমি বরণের ইতিহাস।
স্বাধীনতা ! স্বাধীনতা !! স্বাধীনতা তুমি !!!
স্বাধীনতা তুমি আসবে বলে
বায়ান্ন এলো, একুশ এলো।
রক্ত চাদর বিছায়ে
বীরদর্পে হেটে গেল ঊর্দু জওয়ান।
শাসনের শৃংখল ভাঙলো
জব্বার, শফিক, রফিকেরা।
ওদের রক্তে বাংলা রাঙালো।
পুবের আকাশে দেখি রক্তিম বর্ণচ্ছটা।
তুমি আসবে বলে
প্রসব বেদনায় কাতরালো বাংলামাতা।
তুমি আসবে বলে পথ-প্রান্তর রাঙলো
লাল-সবুজের পতাকা।
স্বাধীনতা তুমি আসবে বলে অধীর প্রতীক্ষায়,
জীর্ণ জীবনের পুঁজে ভেঙ্গে যাওয়া
স্বপ্ন খুঁজে ফিরি।
স্বাধীনতা! স্বাধীনতা!! স্বাধীনতা তুমি !!!
স্বাধীনতা তুমি আসবে বলে
কত পথ সিঁদুরে রাঙালো,
আলতা-বেনারসীর স্বপ্ন ভাঙলো
হাজারো কামিনী- কেতকীর।
অবশেষে তুমি এলে
আজ-কাল-পরশু করে তুমি এলে।
সাথে এক ঝাঁক লাশের মিছিল,
চাপা কান্না, গোঙানির শব্দ
আর স্বজনহারানো বেদনা।
স্বাধীনতা তুমি লাখো বাঙালির আর্তনাদ,
বেদনার দীর্ঘশ্বাস।
স্বাধীনতা তুমি জয়নুলের দুর্ভিক্ষ,
খুবলে খাওয়া লাশ।
তুমি স্মরণের ইতিহাস। তুমি বরণের ইতিহাস।