লাল সবুজের বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার অর্ধশতক পর
আজ আমার জানতে ইচ্ছে করে
তুমি কি এখনো নবযৌবনা?
যুবতীর প্রথম যৌবনে
ভয়ার্ত ফিকে হয়ে আসা চেহারার মত
পাংশু মুখে কেন প্রতিদিন
তোমার রক্তাক্ত হওয়ার খবর নিয়ে আমায়
জাতিকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়
প্রতিদিনকার সংবাদ এ।
আমিতো এমন সকাল চাইনি।
যেমনটি চায়নি তোমার বাবা,ভাই,
তোমার শুভাকাঙ্খী- প্রিয়জন।
তারা কি এজন্য তোমায় বাঁচিয়েছিল?
তোমায় আড়াল করেছিল
ভিনদেশীদের আঁধার লালস থেকে?
আজ যাদের হাতে
তুলে দিয়ে গেছে তোমার দায়ভার,
আচ্ছা বলতো
ওরা না তোমার আপনজন?
তোমায় মা বলে, কেউ বোন,
কেউ প্রিয়জন, প্রেয়সী।
তবে প্রতি সকালেই কেন
রাত্রি লালসার শিকার
তোমার মলিন মুখের আর্তনাদ,
আঘাতে - কামড়ে অর্ধনগ্ন দেহের খবর
আমায় জানাতে হয়?
স্বাধীনতার অর্ধশতকেও
তোমার প্রতি লোলুভ নজর পড়ে?
নাহ! তুমি চিরযৌবনা।
ওরা বলে তুমি বোরকা পড়না,
তোমার পোষাক ঠিক নেই।
তবে কি তুমি আঠারো, একুশ ?
নাহ! তুমি এত বড় নও!
তুমি ছোট,অনেক ছোট।
চার,পাঁচ,ছয়। নাহ্! তার চেয়েও ছোট।
তোমার মাত্র এক বছর।
কিন্তু একটা প্রশ্নের উত্তর দাও বাংলাদেশ!
এই এতটুকুন বয়সেও
কেন তুমি রাত্রী লালসার শিকার?
তুমি অবুঝ বলে!
নাকি এই বয়সেই
তোমার রূপলাবণ্যে ওরা মুগ্ধ হয়ে
তোমায় রক্তাক্ত করে ছুঁড়ে ফেলে ভাঁগাড়ে?
কেন তারা ভাবতে পারেনা
একটা ছোট্ট শিশু,
আগামীর এক শিক্ষিত মা,
এক টুকরো স্বাধীন বাংলাদেশ।
শপথ নিলাম, স্বপ্নটা ছড়িয়ে দিলাম।
চিরঅটুট থাকুক
পূর্বসূরীদের দেয়া সম্মানের লাল।
রাত্রি লালসার অপমানের লালে
তোমার সবুজ বুকের খবর
আর চাইনা আমার রানডাউনে।
তোমার সবুজ বুকজুড়ে থাকুক
গৌরবের রক্তলাল ভালবাসা।
ভালবাসি বাংলাদেশ তোমায়!
অনেক ভালবাসি।