শুনছিলাম তোমার বিয়ার কথা হইতাছে। কেমন জানি লাগতাছিলো।হজ্ঞলে কইতাছিলো আমার চেহারা সাজের বেলার লাহান ময়লা হয়া গ্যাছে৷ তাগো-রে কেমনে বুঝাই- বুকের ভিতর টা চৈত্র মাসের ধানক্ষেতর লাহান চৌচির হয়া আছে।

সেদিন হঠাৎ তোমার চেহারাখান দেখলাম। পড়ন্ত বিকালের সূর্যডার মতো লাগতাছিলো। হজ্ঞলে কয় সোনালী রঙ, আমার কাছেও অপরূপ লাগতাছিল৷ যদিও বিকালের রোইদ আমার ভাল্লাগেনা। তবুও রোইদে পোড়া তোমার তামাটে চেহারাখান দেইখ্যা তব্দা খায়া গেছিলাম। সারাডা বিকাল ধইরা ভাবতাছিলাম- ঘটনা কি? ভাবতে ভাবতে বিকাল গড়ায় সন্ধ্যা নামছে। ঠিক এশার নামাজের পর যখন বাড়ী ফিরলাম তহন নিজেরে হেমিলিনের বাশিওয়ালার মতো লাগতাছিল। বাড়ির লোকজন আমার কাছে ছুইটা আইলো, নানান মসকরা শুরু করলো। তহন আমি, টাসকি খাইয়া আবিষ্কার করলাম,  অহন কাব্যে রূপ নিবো- তোমার আমার কাহিনি! ইদানীং আয়নার সামনে গেলে কেমন লজ্জা লাগে। মনে হইতাছে আমার চেহারায়ও ঝিলিক মারে। বুড়াবুড়িরা কয় আমারো নাকি বিয়ার ফুল ফুটছে। তয় ফুল ফুটুক না ফুটুক তোমারে নিয়া কাটুক জীবনের বাকী বসন্তগুলান।