ক'টা ছেলে বলছে-
দেখ দেখ যাচ্ছে চলে,
সুন্দরীরা এ পথ ধরে।
একটু দাড়াও দেখাও মোরে।
তোমার রূপে যে আগুন জ্বলে।
পিছনে থেকে দেখতে তোমায়
লাগে পুরা নাইকা।
সামনে আসলে মন বলে,
কেউ আমারে সামলা।
মেয়েটি তখন রেগে গিয়ে-
লজ্জা নাই তোর ওরে।
তোর মা বোন রে বল গিয়ে।
আমায় বলার আগে ওরে
বল গিয়ে সব তোর বোনকে।
রেগে উঠল ছেলে-
তবে রে মেয়ে
দেখব আজ তোকে বাঁচায় কে
আমাদের হাত থেকে।
তোর ঐ যৌবনের রসে,
মারব আজ তোকে ঢুবিয়ে।
ছেলেরা সব মেয়েটাকে ধরে,
নিয়ে আসল বদ্ধ ঘরে।
মেয়েটা শুধু চিৎকার করে।
তুবুও পিশাচ ওরে না ছাড়ে।
মনে হচ্ছে কতগুলো কুকুর মিলে
খাচ্ছে গিলে,এক টুকরা মাংসকে।
মেয়ের চিৎকারে আকাশ কাপে।
তবুও কারও কানে না সেই শব্দ আসে।
প্রতিবাদ করার ফলে
সম্ভ্রম তার নিল কেড়ে।
ধর্ষণের এই অভিশাপ থেকে,
কবে মোদের মুক্তি মিলবে।
ওরে কাপুরুষ শোন একটি বার,
জন্ম নেওয়ার কি দরকার ছিল তোমার?
যদি সে হত তোমার বোন,
পারতে কি করতে এমন।
তোমার বোনের সাথে হলে এমন,
তোমার তখন লাগত কেমন?
সম্মান কর নারীত্বকে।
নারীই জন্ম দিয়েছে তোমাকে।
তাদের সম্মান রক্ষা হলে।
সমাজ যাবে পাল্টে।
ধর্ষণ কে না বলে
চল চলি একসাথে।
সমাজ কে পাল্টে দিয়ে
নতুন পৃথিবীর সন্ধানে।।