প্রিয়, মা
কেমন আছো? জানি তুমি ভাল নেই,
এখন যে মাঘমাস গ্রামে অনেক ঠান্ডা পড়েছে।
ঠান্ডায় তোমার কোমরে বেথ্যা বেড়েছে বুঝি?
বেথ্যায় সারা রাত ঘুমাতে পারো না বুঝি!
তোমার জন্য বাবা ও ঘুমতে পারে না, তাই না মা।
তোমাদের কথা মনে হলে আমি ও যে ঘুমাতে পারিনা, রাতের অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে কাঁদি।
মা আমাদের পুতুলের ওপর তোমাদের এখনো রাগ কমেনি বুঝি?
কি করবে বলো- 'মা' ছোট মানুষ বড় হলে ঠিকই বুঝবে!
মা' কতদিন তোমার হাতের বুনা খিচড়ি খাইনা, বাবার বকনী শুনি না, পুতুলের মুখে ভাইয়া ডাক শুনিনা।
অাচ্ছা মা আমাদের পুকুর পাড়ের বরই গাছে কি বরিই ধরেছে?
কতো দিন এক সাথে বরই খাওয়া হয়না!
এই শহরের মানুষ গুলো অনেক সার্থপর।
প্রান খুলে কথা বলেনা।
সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যেস্ত,
কেউ কাউকে ভালোবাসে না।
জানো মা আমি এখন রান্না করা শিখেছি, তোমার মতো মজা হয় না, কিন্তু খাওয়া যায়।
কি করবো, কাজের মহিলা যে প্রতিদিন অাসেনা!!
মাগো এবার ছুটিতে বাড়ি এলে তোমায় রান্না করে খাওয়াবো।
ভাল থেকো কাল যে আমার পরীক্ষা।
মা -বাবা কে আমার শ্রদ্ধা সালাম জানিয়ো।
নিজের প্রতি যত্ন নিও, আমাদের পুতুলকে পারলে ক্ষমা করে দিও।
রচনাকাল :-
৪ মাঘ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ
১৭-০১-২০১৮ ইং
সময় :- রাত ১.১৫
স্থান :- ওয়ারি, ঢাকা, বাংলাদেশ।