অদূরে নীল আকাশে দেখো নিশ্চুপ মহাকাল,
দেখো অনন্তকাল যার বুকভরা শূন্যতা!
দীর্ঘকাল বেঁচে থাকলে পাথর যেমন শুষ্কহৃদয় হয়,
একই ভাবে তুমিহীন এই মহাকালের পথ!
আমি এই মহাকালের এক ক্ষুদ্রাকায় জীব,
যে প্রাচুর্যের অভাবে-অনটনে আকাশনীলের এই শূন্যতা -
আমার সে শূন্যতার চেয়েও বিস্তৃত তুমি আছো!
সভ্যতার অপরিণত জগতে তোমাকে চেয়েছি অসভ্যরকম,
তোমাকে চেয়েছি যতখানি, ততখানি অপ্রকাশিত রেখেছি আড়ালে!
কবিমনে আশা জাগে তোমাকে ছুয়ে দেখার,
হুটহাট তোমার ছবি চেয়ে আমার তাই অযাচিত আবদার।
বারেবার দেখি তোমার শাড়িপরিহিতা ছবি,
দেখি অস্পরার মতোন আমার তোমাকে;
তোমাকে কাছে পাবার আকাঙ্ক্ষা বাড়ে সমান্তরালে।
এই যে দূরে থাকি আমরা, তোমাকে কাছে না পেয়ে -
আমার আকাশে ভর করে, মহাকালের একাক্ষরিক একাকীত্ব।
হৃদয়ে ভর করে সুতীব্র বাসনা, প্রেম নিংড়ে উঠে গভীরে!
বিয়ের পরে রোজ তোমাকে শাড়ি পড়ার আবদার করবো;
তুমি কি তখন বিরক্তি জিইয়ে রাখবে?
আমার অল্প একটুতেই মন ভরে যাবে,
তোমাকে শাড়িতে দেখে প্রেম জাগে না মনে -
জাগে উষ্ণায়ন, কাছে পাবার বাসনাকুল!
প্রিয় ভালবাসা দেখা হলে শাড়ি পড়ে এসো;
কাছে এলে অশেষ প্রেম দিবো, কথা দিলাম।

১১.০১.২০২২