(যে তরুণ জ্বলছে আজো, তার চোখে প্যারিস নেই,
নেই বুকের পাঁজরে তাজমহল গড়ার প্রহসন।
বিষণ্ণ রাতে চোখের দুয়ারে, প্রিয়তমা এলে কাছে,
ছুঁতে যেয়েও হয়না ছোঁওয়া, অধরা বাস্তব
মৃত্যু চতুরঙ্গ সাজিয়ে ফেলে রাতের প্রান্তজুরে।
দেশলাই নিয়ে তরুণের প্রাণের আর্ত চিতকারে ভরা
প্রার্থনা যেন হয় এমন-)
লোকালয় হোক নিষ্প্রাণ বিকল যন্ত্রে জীবিত
ঠিক যেমন নিষ্প্রাণ যান্ত্রিকতায় পূর্ণ প্রেমিকার কপালের টিপ।
ভালোবাসা মুছে যাক নিঃস্পৃহ জড়তায়
প্রেমিকের উদ্ধত ঠোঁট থেকে মুছে যাক সব প্রেমিকার নাম
জেগে উঠুক সব অব্যক্ত কবিতার বিষাদ-সমারোহ-
আকাশ পাতাল ভরে তুলুক ভারি বিষাদে, মিছিলে মিছিলে ।
বহুমাত্রিক-বিষণ্ণ তরুণ আকাশ ভাঙুক ভয়ার্ত ক্রন্দনে-
যেন পৃথিবী লণ্ডভণ্ড হয়ে অধরা প্রেমিকার টিপ করে দেয় চৌচির।
চৌচির টিপে ঝড়ে পড়ুক এক বিন্দু হিম-শীতল শিশির-
শিশির জানাক প্রেমিকার চোখে এগারতম বিপদসংকেত-
প্রেমিকার চোখ মৃত তরুণের ছায়া হয়ে যাক।
পৃথিবী ভরে যাক চতুর্মাত্রিক এক পাশবিক বিষণ্ণতায়-
যে বিষণ্ণতায় মৃত্যুর শিয়রে ধুম্রপানরত ছিন্নভিন্ন তরুণ
অধরা প্রেমিকার ছবি আঁকছে এখনো।

নভেম্বর ১৪, ২০২০