হাঁটতে হাঁটতে পথে চোখ পড়ে মাটির 'পরে
দেখি আমি মাটি, মাটির উপর কত বিচিত্র রং,
কত বিচিত্র পথ- সরু, চওড়া, আঁকাবাঁকা;
চলে গেছে চেনা জানার বাইরের কোন জগতে।
নিজেকে ভুলে যাই। মাটির প্রেমে পড়ি সহসা।
তারপর হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ চোখ পড়ে তোমার 'পরে
কাজলরাঙা চোখ দুটো মেলে সন্তর্পণে চেয়ে থাকো-
না জানি দেখে ফেললাম তোমায়! এই যাঃ সে কি লজ্জা!
কি শীতল, সুনম্র তোমার চলাচল! যেন জীবনপাড়ের
সবথেকে স্বচ্ছ, অমায়িক আর কোমল বস্তুটি তুমি;
ছুঁয়ে দিলে এই বুঝি খসে পড়বে! ভেঙে খানখান হয়ে যাবে!
বিভোর হয়ে চেয়ে রই তোমার পানে, সে কি চোখ!
সে কি মাতাল করা রূপ! তোমায় ভালো না বেসে থাকতে পারি না।
মাটিকে ভুলে যাই। তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাই।
এরপর আনমনে চোখ চলে যায় আকাশের 'পরে
সেদিকে দেখি বিস্তীর্ণ অপার নীল, নীল শুধু নীল!
অসীম নীলে খুঁজে পাই স্রষ্টাকে; সে যে কি অনুভব!
দেহ নেই, চোখ নেই, চলন নেই, আছে একরাশ সুতীব্র
উপলব্ধি; সে উপলব্ধি সৃষ্টি হয়ে ফিরে পাখির ডানায়-
কলতানে-উড়ে চলায়, শুভ্র মেঘে, রংধনুতে, বৃষ্টিতে,
সুপ্রভাতে, পূর্ণিমায় আর লক্ষ কোটি তারার আলোয়।
অজস্র সৃষ্টি স্রষ্টার একরাশ মূর্তমান উপলব্ধি জাগিয়ে তোলে।
আমি ভুলে যাই তোমাকে, স্রষ্টার প্রেমে হাবুডুবু খাই।
০২ ডিসেম্বর, ২০১৯