নির্ভীক সমুদ্রের ঢেউ একের পর এক আছড়ে পড়ছে তপ্ত বালুরাশির ওপর,  
পরক্ষণে স্বপ্নের সাদা ফেনার মতো মিলিয়ে যাচ্ছে ,  
যেন কোনো রহস্যময় হাত এসে সব কিছু মুঁছে দেয় বারবার।  
চারদিকে এক অদ্ভুত সোঁ সোঁ শব্দের গোঙানি,  
মনে হয় যেন একটা অচেনা আওয়াজ ভেসে আসছে,
বলতে চাইছে,  অবিরাম, অনর্গল,  
কখনো কি কেউ মন দিয়ে শুনেছে ভেসে আসা সেই গল্প!
কখনো কী সমুদ্রের বুকের ওপর কান পেতে নীরবে অপেক্ষা করেছ?  
ওই উদার, গভীর কিংবা কখনো কখনো বড্ড স্বার্থপর !
নীল চাঁদরে আলিঙ্গিত শান্ত অথচ অশান্ত জলরাশির ব্যথা বুঝতে চেয়েছো কখনো?  
আমার মননের কল্প বলে সমুদ্র দুঃখী ,
বুকের ভেতর জমা তীব্র গর্জনটা যেন হঠাৎ বাইরে বের করে দেয়- বলে ওঠে,  
কিসের এতো ভাবনা, কিসের এত দ্বিধা?  
তরঙ্গের মতো জীবনও তো এমনই—  
কখনো ভাঙবে, কখনো গড়বে।  
তবু দ্বিধা থেকে যায়!
সমুদ্র কাছে ডাকে বারবার ,
ভয়কে না বলার সাহস কি আছে তোমার?