নরকে আগুন জ্বলে জ্বালাবে মোরে,
মাটির পিঞ্জিরা মোর জ্বলিলে নিজ পাপে!
আয়না মাটি কাঁচের ঘরে দেখছো স্বচ্ছতা,
আপছা আঁধার হৃদয়ে তটে কীসের হীনতা?
গোলাপ-জবা, বকুল মালা স্তব্ধ মেরুর বুকে,
কাতরতা সঙ্গী হলো নির্ভূল পরাজয়ে!
ইচ্ছামতীর লালছে গোলাপ পাল তুলেছে নাওয়ে,
দুঃখের মুখের জল ছিটকে জয়ের নেশায় মেতে।
সর্গ-নরক কী জানি সব জগৎ শূন্যতা,
ভালোভাবেই পুষিয়ে যাব আজব কারখানা।
প্রেমছায়াতে মধুর মালা তীব্র আগুন জ্বলে,
ঘুম আসে না চাঁদনী রাতে কলম বুঝি হাতে।
একালেতে হয় না লেখা নিবেদনের আপনার প্রিয়া,
এতো যন্ত্র দোষের পাতি, যাহ নরকেরই আগুন তটে জ্বলবি অনামুখী।
বকুল মালা হীরা কাঞ্চন লোক মুখে শুনি,
স্বর্গ প্রেমিক হৃদয় মাঝে ভাঙ্গন জোয়ার তুলি।
আপন পাপের হিংস্র ছায়া জ্বলছে পিছু টানি,
পাপেতে পুড়ে বিশ্বাসী হবো স্বর্গ জয়ের দিচ্ছে হাতছানি।
প্রিয়তে মোর দিবো হৃদয়ে লিখে নাহি সংকোচ কিবা ভয় তাতে,
দেখা হবে বীরের জয়ে স্বর্গ কাননে প্রিয়া কল্যাণী তাহার সাথে।
প্রথম প্রকাশিত হয় - ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন, সিলেটে।