এই যে,ঠিক আছে?
হুম, সঠিক আছে ; সঠিক থাকাটাই নির্ধারিত।
যখন মনে হবে নিজেকে নিজের চোখে অশ্লীল করতে হবে
তোমায় স্মরণ করব, ঠিক আছে?
মন হবে যখন জনসমক্ষে আপন শ্লীলতা হরণ করতে হবে
তোমায় ডেকে নেব, ঠিক আছে?
হুম, সঠিক আছে ; সঠিক থাকাই কাম্য!
অশ্রু সলিলে নিভৃতে কান্নায় বৈরাগ্য নিতে যখন মন চাইবে
তোমায় নিমন্ত্রণ দেব, ঠিক আছে?
দীর্ঘশ্বাসের প্রকটতায় দমটা আটকে দেবার ইচ্ছে হলে
তোমায় সংবাদ দেব, ঠিক আছে?
হুম, সঠিক আছে ; সঠিক থাকাই কাম্য!
কষ্টের রেগিস্তানে মধ্যদুপুরে সূর্য স্নানের যখন মন চাইবে
জানিয়ে দেব তোমায়, ঠিক আছে?
প্রতিটা ইগনোরেন্সের আগুনে হাত সেঁকবার বায়না হলে
তোমায় বলবৈ বলব, ঠিক আছে?
হুম, সঠিক আছে ; সঠিক থাকাই কাম্য!
বিরহ সহবাসে যখন দেহ উত্তাপ বিনিময়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগবে হৃদ অলিন্দে
তখন আলবাত্ চেয়ে নেব, ঠিক আছে?
হুম, সঠিক আছে ; সঠিক থাকাই কাম্য!
ওকি! না তোমার করুণা করতে হবে নাগো—
তাঁর বুকে তুমি যতটা আছো ততটাই থাকো,
তোমায় কেউ ছলনাময়ী বলবে,ওটা সইতে পারবেনা হৃদয়
আহ্হা এতোটাও না! অশ্রুগুলো বড্ড দামী, আর যা কর
আমার জন্য ঝরিওনা, না কখনোই না। একদম না!
সেই দিনটা অতীত—
সেই রাতগুলো অতীত—
ঐ মুহূর্তটা অভিশপ্ত অতীত—
ঐ ওয়াদাগুলো নষ্ট বিষাক্ত—
তাঁদের শরীর স্পর্শ করোনা! না, করোনা
তুমি দুশ্চরিত্রা হয়ে যাবে, আমি তা চাইনা, না মোটেও না।
ওদের ওভাবেই ছেড়ে দাও আমার হিস্সায় খুব আদরে।
কোন এক প্রভাত পূর্ব ক্ষণে রাত সভায় আলোচনা বসল,
আমি নাকি তোমার দ্বারা প্রতারিত হয়েছি!
আমার চোখ অশ্রু পেয়েছে, হৃদয় পেয়েছে যাতনা
নিশ্বাস পেয়েছে প্রশ্বাস ভুলিয়ে দেয়া কতগুলো দীর্ঘশ্বাস,
আরো কতইনা বাহারী এলজামাত—
কিন্তু! কিন্তু— সব মিথ্যের জবাব দিল নব-সূর্য-স্নিগ্ধ-কিরণ
পণ্ড করে দিল সমস্ত ব্যসাতি রাত সভার।
তোমার মত আমিও তোমায় ভুলে যাচ্ছি—
ভুলে যাচ্ছি—
ভুলে যাচ্ছি—
আচ্ছা ঠিক আছে?
হুম, সঠিক আছে ; সঠিক থাকাটাই নির্ধারিত।