রুটিন করা কলটা- বুঝিয়ে দিচ্ছে গুরুত্বহীনতা!
বিলি করা পরিপাটি কথাগুলো হাড়ে হাড়ে
টের পাওয়াচ্ছে গুরুত্বহীনতার যন্ত্রণা!; করুন মমতা।
সেই রাত আর রাতগুলো অশরীরীমত ঘুমোতে দিচ্ছেনা
বেশ কিছুদিন। হু...ম- বেশ কিছুদিন নয়, বরং যেদিন
হতে তোমার স্বভাব হতে আমার বিচ্যুতি হয়েছে; করুণা!
প্রথম ক'দিন বেশ আনন্দে-ই ছিলাম!
যাক আপদ বিদেই হলো, এখন শুধুই প্রশান্তি!
ভালোবাসি- ভালোবাসি ঘ্যানঘ্যানানি জন্মের তরে বন্ধ!
কৈফিয়তের ইস্টিমরুলার এক্কেবারে শান্ত,
                     "ধুরো যত্তসব অশান্তি!"

অথচ, আজ আমার!
প্রতিটা প্রতারণা কষ্ট হয়ে বিঁধছে বা'পাশে-
                                         "প্রেম-শূন্যতা"।
প্রেম-শূন্যতা যে, উত্তপ্ত দিবাকর-ঝলসানো ক্ষমতার
আশীর্বাদ প্রাপ্ত, তাঁর বিদগ্ধ অনুভূতি দিচ্ছে অজুতবার।
চিন্তা জগতে এতোটা যের-যবর হবে ভাবনায় আসেনি কখনো!
তিক্ততায় বিষিয়ে উঠছে সমগ্রময়; শূন্যতা!
                                          -আর শূন্যতা!
আমার মাঝে আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত কিন্তু প্রকাশ দিতে
আজাজিল-অহংকার বাধা দিচ্ছে নিরলস। কিন্তু কেন?
প্রশ্নের উত্তরটা পাচ্ছিনা অথবা দিচ্ছিনা, নিজেই নিজেকে।

শোন ফার্দিস!
আজ তোমায় সলজ্জ বলছি-
মানুষ! মানুষ রক্ত শূন্যতায় ভোগে,
আমি ভালোবাসাহীন গুরুত্বহীনতায় ভুগছি,
তোমার প্রতিটা প্রীত-শব্দ-শূন্যতায় ভুগছি!
                               করুণা! বুভুক্ষে ভুগছি।
তোমার শাসন, আহ্লাদ আর যাতনা শূন্যতায় ভুগছি
                                                    চরম!

ওগো! ওগো প্রিয়দর্শিনী ফিরে এসো! এসো না!
স্মৃতি সমুদ্রে কষ্ট স্রোত- না!, প্রীতস্রোত আবার তোলোনা!
সব ভুলে ক্ষমার আলিঙ্গনে আমায় একটু জড়াওনা!
ওহে, এ হৃদ-মরুবন প্রেম-শুধায় সজীব-
                         ফের! ফের একবার সজীব করোনা!