তুমি অরবিন্দ ভয়েল;
আমি নিপুণ হাতে ফোঁড় কাটা রেশমি সুতোর চমক
অনিন্দ্য অবনীর শরীর জুড়ে।
তুমি সেতার ;
আমি এনায়েত খাঁ-র নিয়ন্ত্রিত আঙুলের হালচাল,
বেতার তরঙ্গে সান্ধ্য সভার।
তুমি শিশির ;
আমি প্রভাতী সূর্য পড়া তুমি সিক্ত ঘাস
পাখিদের কলরব গাওয়া বিমুগ্ধ ক্ষণ।
তুমি ফুল;
আমি সবুজ তকতকে পাতায় চির সতেজ গাছ,
যত্নে সাজিয়ে তোলা ব্যালকনি জুড়ে।
তুমি চাঁদ ;
আমি নিটোল জল ভরা রাতের দিঘি
ঝিঁঝির সংগীত হয়ে ওঠা তাপের ওঠানামা।
তুমি ঋণ;
আমি পরিশোধ হতে চাওয়া সুতীব্র ইচ্ছে
সমগ্র এক করে পরিশ্রমের আলো।
তুমি আজান;
আমি মুমিনের বেচেইন-আনচান
ছুটে যাওয়া হারামের সিঁড়ি
আমি তোমাতে নিমজ্জিত হিমায়িত জল
তুমি আমার অস্তিত্ব স্বচ্ছ প্রস্ফুটিত উদয়াচল।