আমি হারিয়ে যায় অবেলায়
আমার হারিয়ে যাওয়া রুপ লাবণ্য ফিরে পাই আবার।।
আমি আমাকে খুঁজি, দিবানিশি
আমার গগনে আমি দেখি রোজ পূর্ণিমার শশী।
কখনো গ্রীষ্মের রোদ্দুর কখনো বা শীতের কুয়াশায়
আমি হারিয়ে যায়।।
আমি বর্ষায় ভেসে থাকা কচুরিপানার আবাস্থল
কখনো বা ভেসে আসা ডিঙার নোঙর।
আমি হেমন্ত খুঁজি,
খুঁজি শরতের স্নিগ্ধতার আভাস
কখনো বা বসন্তের বেলা শেষ
ফিরে পায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস।
আমি এলো কেশে ঝড়ের মুখোমুখি
কখনো বা ঝিরিঝিরি বাতাসে আমি মুগ্ধ।
আমি স্তব্ধতা পার করি কখনো বা
অগ্নি ঝড়ে দগ্ধ।
আমি বিজলীর আলোর ঝলকানি দেখি,
দেখি হা হুতাশ হুতাশী।।
আমি নীরবতায় হারিয়ে যায়
মাঝে মাঝে চির অম্লান হাসি।
আমি পথচলা পথিকের ক্লান্ত শ্বাসের ছায়া
আমি অম্লজানের আধার, আমি প্রকৃতির মায়া।
আমি সৃষ্টির উল্লাসে হাসি,
কখনো বা চির সবুজ ছবির মতো।
আমি বার বার নিজেকে হারায়
আমার পত্র গুলো ঝড়ে যায় শীতে
বসন্ত আমায় করে আবরণ
আমি সুখে সাচ্ছন্দ্যে কেটে যায় নিবৃত্তে।
আমি কোকিলের কণ্ঠ ধ্বনি কখনো বা সাদা বকের বাহার।
আমি পাখির কলকলানি আমি সূর্যের অস্থিত্বের আধার।
আমি প্রকৃতির উল্লাসে উদ্ভাসিত
কখনো বা প্রকৃতির রিক্ততায় মৃত।
আমি বার বার ফিরে আসি ভুবনের মাঝে
আমি চির অম্লান থাকতে চায় সবুজের সাজে।।
তবে হায়,
আমি আজ কালের বিবর্তন
হারাতে বসেছি আমায়।
আমার অস্তিত্বে পড়েছে আঁধার
কঙ্কালসার দেহ মোর করেছে বিরাজ।
পৃথিবীর সবকিছু ধ্বংসের মুখোমুখি
সভ্যতা আমায় দিয়েছে সংকট
আমি চলে যাব জানি তবুও আমার ছায়ার তৃপ্তিটুকু রয়ে যাবে পথিকের হৃদয়ে।
আমার সার্থকতা নিহিত রবে কখনো বা ভাববে কেহ।
আমি অম্লান চির অম্লান তবুও আজ মাথা নত কালের বিবর্তনে।
আমি হারিয়ে যাব কালের বিবর্তনে 😢।।।।।
📌কবিতাটি হাওরের মাঝখানে অবস্থিত গাছকে কেন্দ্র করে লিখা।
রাতুল হাসান(১৮-০১-২৩)