কবিবর শ্রী দিলীপ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়
আমার লেখা "প্রথম হার" কবিতাটির
ইংরেজী তর্জমা করার অনুমতি চেয়েছেন।
কবি, আপনার এ কথাটা আমাকে যথেষ্ট
ইন্ধন দিল। আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা
জানাচ্ছি অাপনাকে। একটি কথা, আমার
মনে হয় দুদিন আগে লেখা "কি করে ভাসালে"
হয়তো বেশি ভালো ছিলো। আপনার পদ
তাকে স্পর্শ করেনি। কবিবর শুধু একটি
কেন, আমার সব কবিতাই সবার। আমি
একে নিজের সম্পদ ভাবিনি কখনও। এ
আমার আসরের মাঝে ঠাঁই পেয়েছে, তাতেই
আমি ধন্য। যাঁর যখনই যা পছন্দ হবে নিজের
মত ব্যবহার করবেন। যদি একটু    
তবে আমিও তার গন্ধ নিতে পারি। না জানালে
ক্ষতি নেই, আমার কবিতা তো রইলো। এ
ক্ষেত্রে, হয়তো আমি চিন্তাধারায় একটু
পৃথক।

আমরা বলে থাকি কবিতা কবির সৃষ্টি।
অন্তত আমার ক্ষেত্রে কথাটা সম্ভবত
খাটে না। কবিতা আমাকে ধরা না দিলে
আমার কলম চলে না। "জন্মদিন" কবিতায়
এ অনুভূতি পরিস্কার লেখা আছে। যাই হোক
যদি ভাবি, কবিতা আমারই সৃষ্টি তবে
বলবো, সে আমার সন্তান।

কথা হলো, পিতামাতা সন্তানের উন্নতিই
চায়। কার আশ্রয়ে সে মানুষ হচ্ছে, তা বড়
কথা নয়। তবে অবনতি যদি নজরে আসে,
প্রতিবাদ তো করতেই হবে। যদি কেউ আমার
কবিতা স্বীয় নামে প্রকাশ করে, আমি বুঝবো
তার অক্ষমতা আমার কাছে হার মেনেছে।
তা বলে তাঁকে অবজ্ঞা করবো না। কারন
সে আমার লেখার মর্যাদা দিয়েছে। মানুষের
শেষ চাবিকাঠি ক্ষমাশীলতা।

এটা আমার নিজস্ব মত। জানি, অনেকেই
সহমত হবেন না। তবু জানবেন, এ মতেই
বিশ্বাসী আমি।