এমনি এক হোলির দিনে।
কৃষ্ণচূড়ায় আগুন জ্বালিয়ে এলে,
আমি রঙের ভয়ে বইয়ে মুখগোঁজা-
তুমি সেই বইটা কেড়ে নিলে।
তোমার কালো হরিণী নয়ন-
তন্দ্রাচ্ছন্নতায় ঘিরলো আমাকে।
আমি দর্শক হয়ে শুধু দেখলাম।
এলে, মনের মতোই আমায় রাঙালে,
লাল নীল হলুদে সবুজে।
একটু প্রতীক্ষা,
চাউনি আবেশ মাখানো।
কিছুটা হকচকিয়ে,
আমার প্রথামত আমি লাল আবিরের
একটি লম্বা রেখা টানলাম।
অবাক চোখে দেখছিলে,
কিছু বললে না।
তোমার বুকের ধুকপুক বুঝতে পারি নি।
হয়তো এর আগে এত কাছে পেয়ে,
কেউ তোমাকে না রাঙিয়ে ছাড়েনি!
কিছু না বলে,
কয়েক বার দেখে,
চলে গেলে।
দুই পাড়াপড়শির আত্মীয় ছিলাম দুজনে।
তখন এত ফোনাফুনি চলতো না,
কেউ কারও ঠিকানা রাখিনি,
ফলে - বিস্মৃতির আড়ালে।
টনক নড়লো পরের হোলির কিছু আগে,
মেয়েটি আমায় লাল আবির পাঠিয়েছে।
কিছুক্ষণ কাটলো-
ব্যাপারটা বুঝতে।
কোনও ঠিকানা নেই।
শুধু লেখা, মাথায় লাগাবেন - শুভা,
নামটা জানতাম,
তাই প্রেরক চেনা গেল।
কিছু প্রেমে শিহরণে,
কিছু সংকোচে,
হতবুদ্ধি হয়ে,
চুপ মেরে গেলাম।
আর এগলো না,
ধামাচাপা।
এরপর বছর পাঁচেক ধরে একই ঘটনা।
অবশেষে ,
তাও শেষ হলো।
আমার বিয়ের পরের বছর
দোলের আগে,
আবার শুভার চিঠি পেলাম,
এবার আবির কিন্তু হলুদ !
লেখা, পায়ে ছুঁইয়ে-
ফেরত পাঠিয়ে দেবেন,
ফাল্গুনেই আমার বিয়ে।
ঠিকানা পুরোপুরি দেওয়া-
খুব বেশী দূরের তো নয়,
জ্বলজ্বল করা নীচের ঠিকানা-
যেন আমাকে বিদ্রুপ করছিল।
হায়!
এতটুকু কেন আমি জানতে.....