সোঁদরবনের এক নাম না জানা চর
ওকে অনবরত শাসাচ্ছে নিম্নচাপ
সেখানকার সবুজ বাকলা খুলে
বানভাসীরা পরায় কুলটা অতীতের জন্মদাগ
তারও অনেক গভীরে পাই কবিতার আলো...

বোশেখের সন্ধ্যেরাতে হঠাৎ চর ভেসে যায়
বুকের তলায় থাকা মস্তো সুখের আবেশ
উৎসুক হয়ে স্বপ্ন দেখায় ঘর বাঁধবার
কবিতা কিন্তু ধিক্কার তুলে বলে,
'নিয়ে নাও রিলিফের স্বার্থপর ক্ষুধ-কুঁড়া'...

নৌকো ছাড়ার আগেই নজরে পড়ে অন্য ঝড়
অবাধ লুটতরাজ, অবাধ্য সব মানুষেরই
নাম না জানা চরে স্বপ্নদেখা সেই লোকজন
অঝোর বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে দেখতে থাকে
মাথার ওপর অবাধ্য ছাদ, বরবাদ...

কবিতার শেষ দৃশ্যে এসে দেখতে পাই
ভাঙা যাত্রাদলের ফেলে আসা অচ্ছুত মণ্ডপ
যেখা‌নে কুশীলবেরা সব চিল শকুনের দলে
দর্শকেরা স্বপ্ন গোছাতে ব্যাস্ত,
আর নদীপথে ভেসে যায় চারটুকরো খড়...