শিউলিরে তুই ভুলেই গেলি
জীবনস্রোতের এপার ওপার,
কুয়াশা আড়ি পেতেই ছিলো
এলোই না ও নদীর জোয়ার।

স্পষ্ট ছিপের ছই ছিল না
বৈঠা নাওয়ের গাঁও ছাড়া,
কব্জি গোটানো ডাগর ক্রোধে
পাপড়ি ফুলের দৃষ্টি কাড়া।

নিষেধ বাঁকে আড়াল থাকে
ছিটকে পড়া মুখের জ্যোতি,
ভেবেছিলাম এও কী জীবন?
জন্মজয়ের এই কী গতি?

কিন্তু এখন সে চাঁদবদনেও
কুঁড়ি বিহীন ছত্র ছায়া,
সেদিন যখন হেসেছিলি
বুঝি নি সেও তোরই মায়া।

আমিও আমার বজ্রকঠিন
হাত রাঙিয়ে নিয়েছিলাম,
মুখোশ খুলে খোলা চোখে
দুদশটা পা গিয়েছিলাম।

আজো কী তোর ইচ্ছে কুসুম
বাগবাজারি পুরোনো বাটা,
ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে গেলেও
বন্ধ হয় না চলতি হাঁটা!