বর্ষা মাসে জমির ঘাসে উঠছে ফুটে রং
হালকা হলুদ কচি সবুজ কত না অং ঢং ।
ধানের নারা দিচ্ছে সাড়া জলের মাঝে ভেসে
পাটের মাথায় চিঁচুর পাতায় যায় রে বাতাস ঘেঁষে ,
হাড়গিলা করে ঠক ঠক শক্ত শামুক খোলে
অল্প করে সিনান করে ডানা দুটো মেলে ।
ডানের জলে নালার খালে শ্যাওলা বিছায় স্যাযা
ছোট্ট লেজের পুঁটি মাছের পাখনা ভেজা ভেজা,
আলের ধারে গর্ত খুঁড়ে দশ চরণের কাঁকড়া
দুলফি ফুলে মধু তুলে ভনভনিয়া ভোমরা ।
গরু-ছাগল চাষির লাঙ্গল কিছুই মাঠে নাই
ভ্রমণ কাজে মাঝে মাঝে আসে বিহগরাই,
রাখাল ছেলে গেছে চলে শহুরে পথ ধরে
পেটের জ্বালায় জীবন ঠেলায় আসবে না সে ফিরে,
কেউ জানে না বিলের কান্না কোন সে দিনের পর
একই আকাশ একই বাতাস তবু ভঙ্গ হায় রে বঙ্গ ঘর ।।
[কবিতায় কিছু গ্রাম্য শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে]