তপস্যায় বসি হঠাত্ একদিন গহন বনের জটাধরী তরুতলে,
গুল্মেপর্নে ভরা গাছে গাছে জন্ম সেথা নব ফুলে ফুলে ।
প্রজাপতি নাহি উড়ে সারা বন জুড়ে ভ্রমরের একাকী গুঞ্জন ,
মধুর গন্ধে মাতিলো রেণু ঢালো ঢালো পাগল করিলো মন ;
চাহিব এমন সুধাময় সুর গরজী উঠিবে তব তব
তপস্যায় আছি - উদাসি ফাগুন বনে কি করে কোকিল হয়ে কুহুলি গাহিব ।
হ্রদয়ে বাজিছে ন্রত্তের ঝংকার , সাহস রয়েছে এতো কার ?
সফলতা হব হব , এমনি গভীর তপস্যা ভাঙ্গার ।
বহুদিন পরে আধো কেশে ঢাকা নেত্রদ্বয় খুলিলাম যবে
বলিল দ্রশ্যমান নর্তকী -নিশ্চয়ই তুমি এবার পাগল হবে ।
স্বর্গ হতে আসিয়াছো ; রম্ভা, অপ্সরা, উর্বশী চিনিতে না পারি তোমারে গো ?
রুপের মোহিনী স্বর্গ বাসিনী উজ্জ্বলার ছন্দ দিয়ে জাগো তুমি জাগো ।
গুল্মপত্র ফাঁকে রবির কিরণ তোমার মায়াবী তনুতে ছায়
ফুটে ওঠে দ্রুত লগ্নে বর্নময় রুপ মোর চলমান চখুর পাতায় ।
ফাল্গুনী অরন্যে গাঢ়বর্নে সব ফুল হয় বিকশিত
তোমার চরণে পরে ফুলপাপড়ি বিছানার চাদরে চিহ্ণিত ।
তুমি বোধহয় জানো না কি ছিল এতদিনের তপস্যা প্রার্থনা
চাই তোমারে সুন্দরময়ী সত্যি করিছো পাগল মম মনখানা ।
( এটি আমার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত কবিতা । এবং আমার শ্রেষ্ঠ্য কবিতার মধ্যে অন্যতম একটি । হ্রদয়, ন্রত্ত, দ্রশ্য এই শব্দ গুলো আমার মোবাইল থেকে ঠিকমতো লিখতে পারছি না । এইজন্য দুঃখিত ।)