স্বরাজ
রতন সেনগুপ্ত
এত বিলম্বিত লয়
তালহীন বিস্তার খায় মস্তিষ্ক কোষমালা
পরমাণু খেলে বুকের উপর, অকুতোভয়
নির্দিষ্ট পদাবলী পাঠ্য হয়ে আসে
সুচিন্তিত, হঠকারী নয়, বহু প্যাঁচ-পয়জারে
তোমার বিক্ষিপ্ত উত্তাপ শুষে নেয়
কয়েক ঘন্টার শীতাতপ
তোমার ঊর্মিমালা শাড়ির ব্যবসা করে বাড়ি বাড়ি, সংসার না ভাসে, নিরুপমা সবে কথা বলে --
একমাত্র সম্বল
ক্ষীণতর বাক্য বিনিময়, দিন শেষে আসা-যাওয়া
কবুতর দানা খায়, একে অন্য ঘাড়ে দোষ চাপা তুমুল ঝগড়ায়
এই কি জীবন?
নিরুপায় শব্দেরা রঙ খায় বিনা ভরসায়
এখন শব্দ শুধু উচ্চরক্তচাপ, কোলোস্টোরল, থাইরয়েড,
মধুমেয় সুগার, সিম্পটম বুঝে ওষুধ, ডাক্তার বড় দায়
ঘন্টা যেকোন দিন বেজে যেতে পারে
উপায় জানেনা কেউ, পথ হাঁটে
ছেঁড়া তমসুক খুঁজে রেখো, যদি থাকে
আরশোলা, ইঁদুর উৎপাত বড়
মনে রেখো
একমাত্র শান্ত ধ্যানস্থ শিব বজ্রাসনে হিমালয়
সেখানে সাপেরা শীতকাতুরে নয়
ভাঙা পুরনো আসবাব খোলার আগে দেখে নিও
এখানে হিম শীতকাল, শীতকাতুরে তারা আশ্রয় নিতে পারে
"অন্তর-বাহির নিরাশ্রয় হয়ো না
হতাশা চার পায়ে হাঁটে, সেটা কোন কাজের কথা নয়"
-- বলেন শেষ বৃদ্ধ মাষ্টার মহাশয়
কারো কোন পা নেই, সব ক্রাচ নিয়ে হাঁটে
দু'কুল ভাসিয়ে নদী ভয়ের কিনারে নাচন উন্মাদ
সাইরেন ফু বন্ধ, পদ নেই, বন্ধ দপ্তর
শুধু হাততালি
স্বরাজ এসেছে চড়ি জুড়িগাড়ি