দু’টি কবিতা
রতন সেনগুপ্ত
                
                ১
         বনান্তর যাব

বনান্তর যাব হাতে খোলা তলোয়ার
তোমায় ফেরাব তুমি নষ্ট নাগর  
মগ্ন সুখ তোমার, তুমি থাক
নিন্দিত ছেঁড়া তমসুক পোড়াব এবার

বিকলাঙ্গ জনরোষ আকাশ মাটিতে
শুধু পতাকা ওড়াও, রংহীন অদৃশ্য কোলাজ সংলাপ
মাথার ওপর বজ্রাঘাত, তোমার কসরত
এ দুর্বিষহ, বনান্তরে যাব  

প্রেমের কাছে নতজানু হয়ে বলেছিলাম
আমাকে ভাঙ, মানুষ দেখাও, তছনছ কর
সাড়া না দিয়ে সরে গেলে ঘোলা জলে
আমি অপারগ, বনান্তরে যাব

তুমি থাক তোমার নগর
খুঁজে খুঁজে বনান্তর যাব
উচিৎ মতো ফেরাব তোমায়
বালখিল্য এ বয়সে মানায় না আর

                  ২
                 তুমি

সরে এস, আসলেই সময় এগোবে
চালকুঠুরির মৃদঙ্গ বাজাও
ব্রজভূমির কৃষ্ণ এসে না রাধা ঠকায়
কদম ডাল ভেঙে নিও হাতে
দেখোনা ফিরে, ঐ যে যমুনার ঘাট
সামনে দেখো  

এবার তরী তোমার, পার কর – পারাপার
ফোঁটা ফোঁটা ঘামে জন্ম-অধিকার – এবার তোমার
চালুনি ফোঁড়ন কাটে চিরকাল, মৃদু গর্জায় ধুলো রাস্তায়
তাচ্ছিল্ল আর মৃদু ঝাড়ন যথেষ্ট – ভয় কি তোমার

সরে এস আসলেই ফস্কা গেঁড়ো
শতাব্দী-ধ্বস সমতলে নামে
শুধু মেঘের সমারহ
বৃষ্টি তুমিই নামাতে পার

চাতক মনোভূমি অপেক্ষায় আছে