আমি ও লোকটা
রতন সেনগুপ্ত
সবই বিবিধ, যা-ই নৈবেদ্য দিয়ে থাকি
অতীত বর্তমান ভবিষ্যত নিবেদনে
কিছুই পাবে না খুঁজে ইতিহাস
শূন্য করে যে গোলক দিয়েছো
জোর হাতে, নত-মস্তক দানে
কিছুই ফিরবে না আর
পৃথিবী বড় জটিল অহংকার
কৌশল ছাড়া কিছুই নেই বোঝাবার
প্রজাপতির রং ধূসর আমার
নেই রামধনু, নেই সাতরঙ
হাসি বা কাঁদি সেতো তোমারই অঙুলিহেলন
লোকটা বলে
শেয়ালটা আমার থেকে অনেক চালাক
বেড়া,তারে খোয়ার শক্ত করে বাঁধি দিনরাত
তবুও রাত্রি জয় তার
শুধু রক্ত-পালক বাতাসে ওড়ায়
বলে শুভসকাল
লোকটা বলে
দিনরাত বৃষ্টি হলে ভাবি উজাড় ফসল
গোলাঘরে মাটি দি, বদলাই পুরনো বাঁকাড়ি
বাঁধ ভাঙে প্রতিবার, প্রতিবার আমি ভিখারী
বড় বড় ঘরবাড়ি,গাড়ি, বাড়ে যার - প্রতিবার
তিনি কন্ট্র্যাকটর
সুখা-জলে পাতি আবার সংসার
বহু কান্নার জলে নদী বয়ে যাবে চিরকাল
বাঁকে বাঁকে নির্মম লিখন
এ মানব-এ হবে না কাজ, দানব নামুক মাথার ওপর
ঐরাবতে পিষ্ট করে ভোলাব দ্বৈপায়ন
একলব্য-তীর হাতে উৎপাট ভূবন
ফেরাব দালাল আচার্য্য, ফেরাব জীবন
কুরুক্ষেত্র হবে না আর, শান্তি নিষ্প্রয়োজন