কবিতার খাতার সাথে কেমন বৈরী সম্পর্ক
দুই সতীনের মত মুখ দেখাদেখি বন্ধ !
কলমটাও আর আঙুলের ডগায় আটকাতে চায় না
অস্বস্তিকর বিশ্রী ভ্যাপসা গরম
অহেতুক ঘামে ভিজে যাচ্ছে পাতলা ফতুয়াটা !
মাতালের মতো নেশার ঘোরে
দেয়ালঘড়ির কাঁটা বেসম্ভব সুস্থির !
সময়টা এখন আটকে যাচ্ছে
আমার অন্ধকার ঘরে, সিগ্রেটের ধোঁয়ায়
শরাবের লালা ঝরানো সুঘ্রাণে
সফল হওয়ার নিছক ছেলেমানুষী হতাশায় !!!
প্রেমের গল্প-গান অসহ্য সস্তা কবিতা
আর কত লিখা হবে?
আর কত লিখবে অজস্র
নেশাখোর, কল্পনাখোর অর্থ প্রাচুর্যে
ভরপুর ব্যর্থ কবির দল !
পেট আমার বিবেকের সাথে
প্রতিনিয়ত মরণপন তর্কযুদ্ধ করে
সুস্থ চিন্তার সমান্তরালে অসুস্থতার
সুনিপুণ সুঁড়সুড়ি !
ভালোবাসা নাকি স্বর্গীয় ব্যাপার,
ওয়াক, থু ! এর চেয়ে জঘন্য
কোন মিথ্যে জগতের বুকে
আর আছে কিনা আমি
দুর্যোধনের জ্ঞানের অবান্তর !
ভালোবাসা হল সত্যি মিথ্যের মিশেলে
ফালতু গপ্প বানানো ।
পরাগরেণু যেমন গর্ভধানী খোঁজে
তেমনি শিশ্ন আমার যোনির সন্ধানে
তোমার দেহের অন্তরালে
মৌচাকে মধুর ভান্ডার খোঁজার মত
হাতড়ে হাতড়ে বেড়ায় !
তোমার ঐ ভারী স্তনযুগলে
আমার আগ্রাসী ঠোঁটের কামড়
ক্ষতবিক্ষত করে তোমায়, তুমি বোঝনি কখনো
এত সতী কেনো তুমি?
ইশ! যদি তোমার মত এতটা শ্লীল হতে পারতাম
আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন !!
মিথ্যাচার, জঘন্য মিথ্যে ভাষণ
আমি আমার ভাবনা নিয়ে সুখেই আছি
তুমিও তোমার সতীত্ব নিয়ে, বিশ্বাস নিয়ে
সুখে থাকো, প্রেমে থাকো
আশীর্বাদ করছি সতী !
দেহের ওপর সত্য বলে কিছু আছে
আমি বিশ্বাস করি না
আরো জোর গলায় বলছি বিশ্বাস করতে চাই না!
কে কি বললো, কে কি ভাবলো?
একান্ত গোপনে কিংবা আমার
সামনাসামনি বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে
আমার কিসস্যুটি আসে যায় না !!!!!!
আমি যদি নগ্ন হই, নগ্নতার পূজারী হই
তাহলে আমি তাই ।
সত্য নগ্ন হলেও কোন পাপ নেই
আর আমি সত্যসন্ধানী হলে
উদ্ভিন্নযৌবনা অশ্লীলতার পরিচায়ক হই !
তবে অপরাধী হতে আমি
রক্তপণ  শোধ করে হলেও রাজী !!!
থাক, ভালোবাসা থাক তোমাদের হৃদয় গহীণে
আমি ভালোবাসাকে নীল খামে ভরে
প্রস্তরযুগের প্রভুর দরবারে পাঠিয়ে দিয়েছি
নিজের অজান্তে !
আর বিপ্লবীর মত মুখ ফসকে
কন্ঠ আমার ওষ্ঠাশ্রয়ে ঝাঁঝালো স্লোগানমুখর
“কমরেড ‘ভালোবাসা’ লাল সেলাম, লাল সেলাম………………………………”