আমি ফিল্মমেকার হতে চেয়েছিলাম

আর বাবা-মা চেয়েছেন নামজাদা ইঞ্জিনিয়ার হই!!!

কি আজিব ব্যাপার! আমি কি ছোট্ট খোকা

কি করতে চাই, কি করতে হবে এসব বুঝি না???

ঝাড়া বাইশটা বছর ধরে এই ঝক্কি ঝামেলা

আমার সব ব্যাপারে ওদের ধানাই-পানাই

বিরক্ত হতে হতে ওই বিষয়টাও তিতা হয়ে গেলো...

অসহ্য হয়ে উঠলো নিজের অস্তিত্ব!

শেষমেশ কি আর করা সহ্য করতে না পেরে

হালদায় ঝাঁপ দিয়ে সুইসাইড!!!!!!!!!!!!

এক্কেবারে সলিল-সমাধি যাকে বলে।।

লাশ খুঁজে পেতে পুরো ২৭ ঘণ্টা লেগেছে

কি যে বিচ্ছিরি গন্ধ করছিলো

ভাগ্যিস বেঁচে ছিলাম না, নাহলে ওই গন্ধে

ওখানেই মরে যেতাম...............

এরপর ঘরে আর আনা হল না আমাকে

আমার প্রিয় বারান্দায়,ইজি চেয়ারটাই

শেষবারের মতো বসানো হল না আমাকে!

অবশ্য আমি আমার শেষ ইচ্ছেটা কোথাও লিখে যাই নি।

তাড়াহুড়ার মধ্যে ওসব কি মনে থাকে মশাই!

আমার বাবা আমাকে ছুঁয়েও দেখেনি

সেই বাবা যার হাত ধরে আমার স্বপ্ন দেখার সূচনা।

মা'টা বিলাপ ধরে কেঁদেছেন বটে

কিন্তু ওই কান্না যতটা না আমাকে হারানোর বেদনায়

তার চেয়ে অনেক বেশী ঘেন্নায়!!!!!

কি করলো তার ছেলে???সব স্বপ্নকে পানিতে ডুবিয়ে দিল!!!

জানাজাটাও হলো না আমার

এমনেই কবরের ভেতর চালান করে দিয়েছে!!!

ভেবেছিলাম ভাইয়ার আশেপাশে কবর দেবে

কিন্তু ওরা ওটাও করেনি!

এরপর আর কি? সোজা নরকে ট্রান্সফার.....................

মরার আগে আজরাইলকে বলেছিলাম

"মরার পরে জানটা কবজ করিস ভাই!"

কথা শুনেনি হারামজাদাটা, কি যে কষ্ট দিলো!

পরে আবার এখানে দেখা হয়েছে ও ব্যাটার সাথে

জিজ্ঞাসা করতেই বলে কিনা "নিয়মে নেই তাই"

বলি "তুই কি রেগুলার একই টাইমে পটি করিস?

সূর্য কি রেগুলার একই টাইমে ঘুম থেকে উঠে???"

এসব বলতেই গবেটের মতো হা করে দাঁড়িয়ে ছিলো,

গর্দভ একটা!!!!!!!!!!!

এরপর ঈশ্বর মশাইয়ের সাথে দেখা

জিজ্ঞেস করলেন "সুইসাইড করেছিস কেনো??"

সুইসাইড করেছি বেশ করেছি!

এখানে এসেও কি কৈফিয়ত দিতে হবে নাকি???

মরেও শালার শান্তি নেই দেখছি!!!

বেঁচে থাকতে উঠতে-বসতে, খেতে-ঘুমাতে

কৈফিয়ত দিতে হয়েছে

আবার এখানে এসেও দেখি একই কাহিনী!!!!!

তারপর তো ঈশ্বর মশাই রেগে-মেগে

একেবারে নরকাদেশ দিয়ে দিলেন.....................

অবশ্য বড্ড দয়ালু আছেন প্রভু

পিটুনি দেয়ার জন্য যে ব্যাটা আছে ওকে বলে দিয়েছে

"মারিস, একটু কম কম করে

তেলে চুবোস তবে পুরোটা নয়া!!!!

বেচারা ভালো কাজও কম করেনি

মাগার শেষটাই সব গোল পাকিয়ে দিয়েছে"..................

তো এখন ওই ব্যাটাদের নামাজের বিরতি

এই ফাঁকে আমি এগুলো লিখে ফেললাম।

আগে যখন দুনিয়ায় ছিলাম, তখন কবি ছিলাম।

প্রচুর কবিতা লিখতাম...........................

ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও নাকি ধান ভানে

আর কবিরা বোধহয় নরকে গেলেও কবিতা লেখে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!