রোজ সকালে চেয়ে থাকি আমি মেঠো পথটার ধারে,
যেন অন্তত দু'চোখ ভরে দেখতে পারি তারে।
গত দু দিন না দেখে তারে দুশ্চিন্তা এসেছিলো,
আজ এক দেখাতেই দুদিন অদেখার তৃষ্ণা মিটে গেল।
আজ দেখে ছিলাম তাকে,
দুর থেকে চেয়ে দেখে দেখে আমি ভালোবেসেছি যাকে।
সে আজ সেজেছিল বসন্ত ফুলের বাহারী সাঁজে,
এক পলকে দেখে তারে মরে যায় প্রেম লাজে।
নীল শাড়ীতে নীলিমার সব নীল যেন নেমেছিলো তার অঙ্গে,
যেন পূর্ণিমার চাঁদ রেঙ্গেছিলো আজ আকাশের নীল রঙ্গে।
চিবুকের নিচে গোলাকার কালো মনহরা এক তিল,
যেন গোধূলি শেষ প্রান্তরে প্রেম জমা হয়ে অবনীল।
মায়া ভরা ঠোট মিশেছিলো যেন রহস্যময়ী হাসি,
যত দুরে থাকি হাসির মায়ায় বারে বারে ফিরে আসি।
কাজলে ঘেরা ঐ দুটি চোখের একটি ঝলক চাওয়া,
যেন শত জনমের প্রতিটি জন্মে এটুকুই শুধু পাওয়া।
ভোরের শিশিরে ভেজা দুটি ঠোট সদ্য ফোটা কড়ি,
যতবার দেখি ঐ জোড়া ঠোট ততোবার প্রেমে পড়ি।
ঢেউ মাখা তার কঁপাল মাছে ছোট্ট কালো টিপ।
আঁধারে ঘেরা মনের গহিনে জ্বালালো প্রেমের দীপ।
কেশবতীর ঐ চুলের খোপায় রক্ত করবী ফুল
বাতাসের দোলে দুলছে দু'কানে ঝুমকো জবার দুল।
লাজুকতার লালে লাল হয়ে আছে তার ঐ সোনা মুখ।
তাই দেখে দেখে মিটাই আমি প্রেম পিয়াসার সুখ।
মিঠি মিঠি চোখে প্রিয়সী আমার তাকায় এদিক ওদিক।
তার চাহনীতে ছুটে চলে মন হারায় দ্বিগ-বেদিগ।
হঠাৎ যখোন চোখাচোখি হয় বেড়ে যায় হৃদ-স্পন্দন,
এ যেন মোর স্বর্গে পাওয়া প্রমেময় কোনো বন্ধন।
সয়নে তারে দেখে আমি ভাবি হুর বুঝি এলো নেমে,
জনম জনম ভেসে যেতে চাই রুপাঞ্চনার প্রেমে।