রহস্যঘেরা নিখিল এ বিশ্ব যেন বাহারি কল্পনাময়
শত জল্পনা জেগেছে মননে মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়
জন্ম-মৃত্য, উত্থান-পতন ঘটিছে নিত্য অদৃশ্য হেলায়
আত্মার ক্ষয়ে, পুণ্যের লয়ে জগত গড়িয়াছে সাঝবেলায়
সৃষ্টি ঢাকিয়াছে ধংস আঁধারে অমাবস্যার মত
স্রষ্টার নাম যপিতেছে আজি দুনিয়ার পাপি যত
বিনাশ হইবে জীবনের হর্ষ মহাবিশ্বের লয়ে
পাপির অন্তর কাঁপিছে আজি মরণের ভয়ে
বাঁচিবার তরে লালায়িত যে জন যজ্ঞলীলার পাশে
চেয়ে দেখ সেই যজ্ঞের মাঝে তাহার মৃত্যু হাসে
জীবনের দুয়ারে মরণের বহ্নিশিখা সদা দন্ডায়মান
জীবন নদীর বন্দরে নোঙর করিছে দেখ মৃত্যু জলযান
অন্তরে আজি ত্রাসের রাজত্ব, মহাউৎকন্ঠা, হাহাকার
এই বুঝি ফুসরত এলো চির-নিপাত ঘন্টা বাজিবার
জমীন ফুড়িয়া উঠিয়াছে যত উদ্ভিত-বৃক্ষরাজি
বিশ্বধাঁধারঁ ভেদ ভাঙিয়াছে তত স্রষ্টার কারসাজি
বিশ্বমায়ের সন্তান যারা হইয়াছে চির অমর-অক্ষয়
আশাবান মনে উন্মুখ তাহারা করিয়াছে জীবনের ক্ষয়
ইতিহাস তাদের কীর্তি লেখিয়া, করিয়াছে চির-ভাস্কর
ভূতল ভুবন বরণ করিয়া, হইয়াছে তাহারা বিশ্ববর
এ ধরায় আসিয়াছে যবে নব-বিজ্ঞানের জয়জয়কার
সভ্যতা ডুবিয়াছে সেদিন, হইয়াছে পরাজয় তার
পাপে-তাপে অনাচারে করিতেছে বিশ্ব ধংস নিনাদ
মানব-দানব আনিয়াছে প্রান্ত-পার্বণ, কল্প-ভেস্ত ফাঁদ।